মোঃরেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টারঃ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মালেকা আক্তারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে গৃহবধূর মা জীবননেছা বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মৃত মালেকা আক্তার গোপালপুর গ্রামের মো. জব্বার আলীর মেয়ে এবং একই গ্রামের শহীদের ছেলে মো. ফেরদৌস হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে মালেকা আক্তারের সঙ্গে ফেরদৌস হোসেনের বিয়ে হয়। পরে ফেরদৌস হোসেন তিল্লীরচর গ্রামের পিংকি নামে একজনকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই প্রথম স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আপস করে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কথা বলে প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করে ঘরে তোলেন ফেরদৌস।
কিন্তু ফেরদৌস টাকা নেওয়ার পরও দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় প্রথম স্ত্রী মালেকার সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হতো। এরই জেরে গতকাল রাতে মালেকা ও ফেরদৌসের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করেন এবং পেটে লাথি মারেন ফেরদৌস। পরে মালেকার অবস্থা খারাপ হলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আক্কাছ আলীকে ঢেকে আনেন তিনি। এ সময় চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করলে ফেরদৌস মরদেহ ফেলে রেখে রাতেই পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে গৃহবধূর বাবা মো. জব্বার আলী বাংলা ৫২ নিউজ কে বলেন, ‘আমার মেয়েজামাই ফেরদৌস তিল্লীরচর গ্রামের পিংকি নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। এ নিয়ে মেয়ে মালেকার সঙ্গে জামাইয়ের প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। এরই জেরে দুই মাস আগে পিংকিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে জামাই সাড়ে ৪ লাখ টাকা যৌতুকও নিয়েছে।গৃহবধূর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘পিংকির পরামর্শে ফেরদৌস আমার মেয়েকে হত্যা করেছে।
এ নিয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বাংলা ৫২ নিউজ কে বলেন খবর পেয়ে গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মানিকগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা জীবননেছা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।