বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠক শেষে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সমঝোতা স্মারকগুলো সই করা হয়।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হায়দরাবাদ হাউসে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে—
১। কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলনের জন্য সমঝোতা স্মারক।
২। বাংলাদেশ ও ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক।
৩। ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি ও বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৪। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য সমঝোতা স্মারক।
৫। বাংলাদেশ ও ভারতের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৬। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৭। স্পেস টেকনোলজি বা মহাকাশ প্রযুক্তি খাতে সমঝোতা স্মারক।
দিনের কর্মসূচির শুরুতে মঙ্গলবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলে তাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। দুই প্রধানমন্ত্রী করমর্দন করেন। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, নয়াদিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। এরপর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, এটা আমার জন্য আনন্দের। বিশেষত আমরা সব সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করি। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি।
এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনখড় এবং পরে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি ও নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন। একইদিন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
এছাড়া ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সভায় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন।
সফর শেষে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) চারদিনের সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে নয়াদিল্লি পৌঁছান তিনি।