হেফাজতে ইসলামের আটক নেতাদের ক্রমান্বয়ে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, হেফাজতের পক্ষ থেকে যাদের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগেরই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যারা বাকি আছেন তাদেরও ক্রমান্বয়ে মুক্তি দেওয়া হবে।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গি উত্থানের পর সবাই কাওমি মাদ্রাসার দিকে আঙ্গুল তুলেছিল। আমরা তখন প্রতিবাদ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম কাওমি মাদ্রাসায় দ্বীন ও ইসলামের শিক্ষা দেওয়া হয়। এখানে জঙ্গির উত্থান হতে পারে না। এখন আমরা বলতে পারি আলেম ওলমাদের সহযোগিতায় আমরা জঙ্গি দমন করেছি। আমরা সব সময় আলেম ওলমাদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
নুরানি মাদ্রাসা বন্ধের প্রশ্নই আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কখনো বলেননি নুরানি মাদ্রাসা বন্ধ করে দিবেন। কিভাবে নুরানি মাদ্রাসা চালু থাকবে, কিভাবে ধর্ম প্রচার হবে সেগুলি নিয়ে চিন্তা করেন।
তিনি কোরআন হাদিসের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নিবেন না। বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ ছাড়া তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেন না।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সফর কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে আসার উদ্দেশ্য ছিল আল্লামা আহমেদ শফির কবর জেয়ারত করা। আমি এখানে তাই করতে এসেছি।
হেফাজতের সঙ্গে সরকারের বর্তমান সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সরকারের সঙ্গে কারো বৈরি সম্পর্ক নেই। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়ে চলে। হেফাজত একটি ইসলামিক চিন্তা নিয়ে কাজ করে। তারা দ্বীন ও ইসলাম প্রচারে কাজ করছে। তাই তাদের সহযোগিতা করছি।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহিয়া, মঈনে মোহতামিম মুফতি জসিম উদ্দিন, হাটহাজারী মাদ্রাসার হাদিস বিভাগের প্রধান মুফতি কেফায়াত উল্লাহ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।