Sunday , 12 May 2024
শিরোনাম

হোটেল আটলান্টিকা কান্ডে পর্নগ্রাফী মামলায় জামিন নিতে এসে তিন সাংবাদিক জেল হাজতে

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরে আলোচিত আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় ডিবিসি টেলিভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করণ, দেশ টিভির মেহেরপুর প্রতিনিধি রেক্সোনা আরা ও নিলুফার ইয়াসমিন রুপাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে জামিন আবেদন করে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডিবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক আবু আক্তার করণ, দেশ টিভির সাংবাদিক রেক্সোনা আরা, ও নিলুফার ইয়াসমিন রুপাসহ ১৭ আসামিকে অভিযুক্ত করে হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়। এরপর তারা উচ্চ আদালতে চার্জশিটের তথ্য গোপন করে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের জামিনাদেশ শেষ হলে বৃহস্পতিবার তারা মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলায় আসামিদের পক্ষে মিয়াজান আলী, মারুফ আহমেদ বিজন ও মিনা পাল এবং সরকারি পক্ষে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক কৌসুলির দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল মেহেরপুরের চার সাংবাদিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারাসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১),৮(২), ৮(৩), ৮(৪) ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন আরন্য, ডিবিসি টেলিভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করন, দেশ টিভির প্রতিনিধি রোকসানা আরা, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনি, কথিত সাংবাদিক নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, আটলান্টিক হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন জোয়ার্দার, আব্দুস সালাম, হাসিবুল হক জয়, নেহাল আল মুকিত, শাহাজান আলী, মোছা. রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাশা।
এদের মধ্যে মিজানুর রহমান জনি, নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, মতিয়ার রহমান, মামুন জোয়ার্দার, হাসিবুল হক জয়, শাহাজান আলী, নেহাল আল মুকিত পুলিশের হাতে আটক হয়ে হাজতবাস করেছেন। বর্তমানের তারা জামিনে আছেন। বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। এদের মধ্যে এই তিনজন আজ মেহেরপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের চার্জশিট থেকে জানা যায়, একটি নারী চক্র গড়ে তুলে মেহেরপুর শহরের আভিজাত শ্রেনীর হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেনীর মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তা ভিডিও ধারণ করেন। এবং সেই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই চক্রে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ডজ্জনখানেক সুন্দরী নারী জড়িত ছিলো। তাদের পৃষ্ঠপোষক করতো অভিযুক্ত মেহেরপুরের চার সাংবাদিকও।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ নভেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মী সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতা প্রিয়া খানকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।

Check Also

ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ

বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি (বিডিপিপি) নামের নতুন এক রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। শনিবার (১১ মে) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x