বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রবেশ পদে (সহকারী জজ) নিয়োগের জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাইয়ে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২মে) এ বিষয়ে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জেলা ও দায়রা জজ) শরীফ এ এম রেজা জাকের এক প্রজ্ঞাপন জারি করেন।আগামী ১৮ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত অনলাইনে এই আবেদনপত্র পূরণ ও জমা দেওয়া যাবে। তবে শেষ তারিখ ও সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে যথেষ্ট সময় নিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন। প্রার্থীর বয়স অনধিক ৩২ (বত্রিশ) হতে হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
পদ সংখ্যা: ১০০টি। তবে বিধি অনুযায়ী পদ সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে।
পরীক্ষার ধরন ও পাস নম্বর
(ক) প্রাথমিক পরীক্ষা: সব প্রার্থীকে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এ পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১ নম্বর। তবে প্রতিটি এমসিকিউয়ের ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কর্তন করা হবে। সব প্রার্থীকেই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রাক যোগ্যতা হিসেবে প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রাথমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০। প্রাথমিক পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহ, সাধারণ গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা এবং আইন বিষয় সমূহের ওপর প্রশ্ন করা হবে। প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কোনো প্রার্থীর লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হবে না।
(খ) লিখিত পরীক্ষা: এক হাজার নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেসব পরীক্ষার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন শুধু তারাই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে একজন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে ধরা হবে। কোনো পরীক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ৩০ নম্বরের কম পেলে তিনি লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন।
(গ) মৌখিক পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদেরকে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০।
প্রাথমিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার কেন্দ্র এবং সময়সূচি কমিশনের ওয়েবসাইটসহ বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হবে।