মোবাইল ফোনে দুজনের পরিচয়। গত এক বছরে মোবাইল ফোনে কথা বলে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একাধিকবার দুজনে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থেকে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রেমিক যুবক ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
বিয়ের দাবিতে ৫০ বছর বয়সী এক নারী রংপুর থেকে জয়পুরহাটের কালাইয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন। যুবক প্রেমিকের বয়স ২৪ বছর।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের বলি শিবসমুদ্র গ্রামে প্রেমিক ফিরোজ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওই নারীকে সেখানে বসে থাকতে দেখা গেছে। প্রেমিক ফিরোজ হোসেন ওই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
ওই নারী জানান, গত এক বছর ধরে মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক ফিরোজ তার সঙ্গে রংপুরে গিয়ে দেখাও করেছে। শুধু তাই নয়, বিয়ে করার কথা বলে একাধিকবার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলেও নিয়ে গেছে। ৪৫ হাজার টাকাও নিয়েছে। এরপর থেকেই ফিরোজকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। আবার মোবাইলে কল দিলে রিসিভও করেন না। তার নম্বর ব্লক লিস্টে করে রেখেছেন। তিনি সম্পর্ক অস্বীকার করছেন। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অনশন শুরু করেছেন।
পলাতক থাকায় প্রেমিক ফিরোজের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে তার বাবা আব্দুল আলিম জানান, তার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে না। তবে ছেলের সঙ্গে কথা বলে তিনি এর একটা ব্যবস্থা নিবেন।
একই এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক ফকির জানান, ওই নারী সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন। আর গ্রামের লোকজন তাকে দেখতে ভিড় করছেন। কী ভাবে এই নারীর সঙ্গে ফিরোজের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে? বলা যায় না, হতেও পারে। অনেক কিছুই তো দেখছি। তা না হলে ফিরোজ পালাবে কেন।
এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী জানান, এ বিষয়ে ওই নারী এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।