ঢাকা , শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন অপরিহার্য: মিয়া নূরউদ্দিন আহাম্মেদ অপু নির্বাচনের তফসিল কবে, জানালেন ইসি আনোয়ারুল একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার চিন্তা করছে সরকার জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের রাতভর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার তিনজন রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত ন্যায়বিচার সবার জন্য, তবু গ্রামীণ দরিদ্ররা এখনো বঞ্চিত বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক ডিজিটাল কোর্ট ও অনলাইন বিচার: স্বচ্ছতার নতুন দিগন্ত না নতুন সংকট? কাপ্তাইয়ে পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত মিলার

বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক

সাংবাদিক

তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাকে বলেছেন—দেশে থাকো, দেশের মানুষের সেবা করো। তাই আমি তার নির্দেশই পালন করছি।”

মঙ্গলবার রাতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় এম এ মালিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাঁর প্রয়াত মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল নিজ গ্রামের কবরস্থানে বাবার পাশে দাফন হওয়ার, কিন্তু বিগত সরকারের সময় পাসপোর্ট আটকে দেওয়ার কারণে তিনি মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেননি।
তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার সেই কষ্ট থেকেই আজ দেশের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছি।”

দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, “সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক হত্যার বিচারহীনতা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে এম এ মালিক বলেন, “দেশ এখন গভীর সংকটে। প্রশাসনে এখনও ষড়যন্ত্রকারী ও বাকশালী মানসিকতার লোক রয়েছে। তাই বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে—এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি এমপি হই বা না হই, আমার এলাকার উন্নয়ন যেন কোনোভাবে ইলিয়াস আলীর চেয়ে কম না হয়—এটাই আমার অঙ্গীকার।”

এম এ মালিক জানান, বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ দক্ষিণ সুরমা অঞ্চলের উন্নয়নে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তিনি আশ্বাস দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই অঞ্চলের সব রাস্তা কার্পেটিং সম্পন্ন হবে এবং পাঁচটি রাস্তায় কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী শুক্রবার থেকে প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হবে, যেখানে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল সরাসরি উপস্থিত থেকে অনুমোদন দেবে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
৫৩৫ Time View

বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক

আপডেটের সময় : ০৫:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাকে বলেছেন—দেশে থাকো, দেশের মানুষের সেবা করো। তাই আমি তার নির্দেশই পালন করছি।”

মঙ্গলবার রাতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় এম এ মালিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাঁর প্রয়াত মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল নিজ গ্রামের কবরস্থানে বাবার পাশে দাফন হওয়ার, কিন্তু বিগত সরকারের সময় পাসপোর্ট আটকে দেওয়ার কারণে তিনি মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেননি।
তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার সেই কষ্ট থেকেই আজ দেশের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছি।”

দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, “সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক হত্যার বিচারহীনতা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে এম এ মালিক বলেন, “দেশ এখন গভীর সংকটে। প্রশাসনে এখনও ষড়যন্ত্রকারী ও বাকশালী মানসিকতার লোক রয়েছে। তাই বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে—এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি এমপি হই বা না হই, আমার এলাকার উন্নয়ন যেন কোনোভাবে ইলিয়াস আলীর চেয়ে কম না হয়—এটাই আমার অঙ্গীকার।”

এম এ মালিক জানান, বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ দক্ষিণ সুরমা অঞ্চলের উন্নয়নে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তিনি আশ্বাস দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই অঞ্চলের সব রাস্তা কার্পেটিং সম্পন্ন হবে এবং পাঁচটি রাস্তায় কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী শুক্রবার থেকে প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হবে, যেখানে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল সরাসরি উপস্থিত থেকে অনুমোদন দেবে।