ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণভবনে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট শি জিন চেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সাক্ষাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে, বিশেষ করে কানেকটিভিটি, বাণিজ্য সুবিধা ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে এডিবির সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রায় দুই বছর পর দেশের মানুষ এবার মুক্তভাবে ঈদ উদযাপন করেছে।
করোনা মহামারির সময় সহায়তার জন্য এডিবির প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই উত্তরণকালে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
বাংলাদেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের অধিকতর ভালো জীবন নিশ্চিত করতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ ঘর দেয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার আরও বেশি খাদ্য উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানেকটিভিটির উন্নয়নে বাংলাদেশের দরজা উন্মুক্ত। এ প্রসঙ্গে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর বন্ধ হওয়া ভারত সীমান্তের কয়েকটি রুট পুনরায় চালুর কথা উল্লেখ করেন তিনি।
করোনা মহামারি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট শি জিন চেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। ৭ শতাংশ জিডিপি অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শি জিন চেন বলেন, এডিবি সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং গ্রাম ও নগর উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রসঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এ সময়টা সাধারণত ক্রিটিক্যাল। বাংলাদেশ ভালো করছে।
কৃষি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি করেছে।
বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই অর্থনৈতিক জোনগুলো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা পূরণ করবে।