Saturday , 4 May 2024
শিরোনাম

নওগাঁয় ঝড়-বৃষ্টিতে উড়েগেছে বাড়ি-ঘড়ের ছাউনি, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

মোঃ সুইট হোসেন নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় হঠাৎ করে আবারো গত ভোররাতে ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অনেকের বাড়ি-ঘড়ের ছাউনি উড়েগেছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন মাঠে থাকা কৃষকের ধানের ক্ষতি সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছেন আম চাষি ও ধান চাষিরা। নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, সাপাহার সহ বিভিন্ন উপজেলায় শনিবার ২১ মে পূর্বরাত ৩ টারদিকে হঠাৎ করে শুরু হয় প্রবল বেগে ঝড় ও মুশুলধারে বৃষ্টি।

আর এ ঝড় ও বৃষ্টিতেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাজারো কৃষক ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বিকার হয়েছেন। কারো বাড়ির ছাউনি উড়েগেছে, কারো মাঠের ধান পড়ে পানির নিচে তলিয়ে গেছে এমনই ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছেন হাজারো কৃষকের মাঠে থাকা বিভিন্ন ফসল। এছাড়া ঝড়ে বিভিন্ন সড়কের ধারে থাকা গাছ সহ কৃষকদের খলিয়ানে ও বাগানের বিভিন্ন ফলের শতশত গাছ উপড়ে পরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নওগাঁর সাপাহারে প্রচন্ড ঝড়ের কারনে টিনের চালা, কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা সহ বাগানের গাছগুলো থেকে হাজারো মন কাঁচা আম ঝড়ে পরে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আমের জন্য বিক্ষাত এ

উপজেলায় অপরিপক্ব কাঁচা আমের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
শনিবার পূর্বরাত ৩ টারদিকে এ উপজেলায় ব্যপকহারে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে করে এউপজেলায় বৃষ্টিতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঝড়ের কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ও বাড়ি ঘড়ের টিনের চালা উড়ে যায়, আম সহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে পরে। এসময় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অপরিপক্ব কাঁচা আমের। বাগান মালিকদের দাবী, সাপাহার উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগানের ন্যাংড়া, ফজলী, আম্রপালী সহ বিভিন্ন জাতের অন্তত ১৫-২০ ভাগ আমই হটাৎ এ ঝড়ে গাছ থেকে ঝড়ে পড়েছে। ঝড় এর কারনে গাছ থেকে পরা আমগুলো পরিপক্ব না হাওয়ায় বাগানিরা পানির দরো(নামমাত্র মূল্যে) বিক্রি করেছে বাজারে।

এমনকি উপজেলার কয়েকটি আড়তে “অপরিপক্ব হওয়ায়” দেড় থেকে দু’ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে আম।
এতে করে আম বাগান মালিকরা এক প্রকার দিশেহারা হয়েছে পড়েছেন।
বাগানের মালিক মোঃ শরিফুল জানান, আমার ৭০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা আম বাগানের গাছগুলো থেকে প্রচন্ড ঝড়ের কারনে প্রায় ৩৫০ মনের মতো আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়েছে, বর্তমানে বাগানে যে আম আছে এতে করে জমি ইজারার টাকাসহ খরচের টাকা উঠবে কিনা এনিয়ে ভাবনাই পরেছি।
সাপাহার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুনিরুজ্জামান বলেন, এমহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সঠিকভাবে বুঝা যাচ্ছেনা। তবে ৫ ভাগের মত আম পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Check Also

বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি

ম্যাচ শুরুর আগেই চট্টগ্রামের আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। আগেরদিন সেখানে হয়েছে বৃষ্টি। উইকেটেও অনেকটা সবুজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x