চলতি বছরের মধ্যেই পামওয়েল শিল্পে অন্তত ৫২ হাজার বিদেশি কর্মী যোগ দেবে বলে আশা করছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন (এমপিওএ)। তবে দেশটির শ্রমঘাটতি পূরণে এটি যথেষ্ট না-ও হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংগঠনটি। খবর রয়টার্সের।
করোনাজনিত লকডাউনে সীমান্ত বন্ধ থাকার জেরে দীর্ঘদিন ধরে কর্মী সংকটে ভুগছে মালয়েশিয়ার পাম শিল্প। দেশটির শ্রমশক্তির প্রায় ৮০ শতাংশই বিদেশি কর্মী, যার সিংহভাগ যায় ইন্দোনেশিয়া থেকে। কর্মী সংকটের প্রভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাম উৎপাদক দেশটিতে এর উৎপাদন নেমে গেছে কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
এমপিওএ’র প্রধান নির্বাহী নাগীব ওয়াহাব বলেছেন, সরকার চলমান শ্রম সংকট কমাতে ৩২ হাজার কর্মী বরাদ্দের পাশাপাশি আরও ২০ হাজার কর্মীকে প্রবেশের অনুমতি দিতে রাজি হয়েছে, যাদের আবেদন ২০২০ সালে সীমান্ত বন্ধ হওয়ার আগে অনুমোদিত হয়েছিল। এরই মধ্যে কিছু বিদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছে গেছেন।
তিনি বলেন, আমরা এক ভয়ানক পরিস্থিতিতে রয়েছি। ধারণা করা হয়, দেশে এক লাখের বেশি কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। আমি মনে করি, আগামী জুলাই মাস নাগাদ প্রচুর কর্মী প্রবেশ করবে।
২০২০ সালের এপ্রিলে মালয়েশিয়ার পাম শিল্পে কর্মরত ছিলেন প্রায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার বিদেশি কর্মী। তবে মহামারির মধ্যে অনেকে স্বদেশে ফিরে যান এবং এরপর সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারেননি। প্রায় দুই বছর পর অবশেষে গত মাসে বিদেশি কর্মী প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে মালয়েশীয় সরকার।
তবে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় প্রচুর কর্মী যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার সম্ভাব্য পাম উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটি ৯০ লাখ টনের নিচেই রেখেছেন নাগীব। কারণ, চলতি বছর এরই মধ্যে যে ক্ষতি হয়ে গেছে, তা পূরণ করা অসম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।
নাগীবের মতে, গত বছরের তুলনায় এ বছর মালয়েশিয়ায় পাম উৎপাদন ১০ শতাংশ বা প্রায় ৩০ লাখ টন কম হতে পারে। সোমবারের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত পাম তেলের দাম হিসাব করলে এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি রিঙ্গিত (৪৩৫ কোটি মার্কিন ডলার)।
এমপিওএ’র প্রধান নির্বাহী বলেন, কর্মী সংকটের কারণে গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধে পাম উৎপাদন কম হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে চাষের বিরতি ১৪ দিনের জায়গায় কোথাও কোথাও ৫০ দিনে পৌঁছেছে।