বেলারুশ সীমান্তে দ্বিতীয় দফার আলোচনার মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে চাইলেন ইউক্রনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করার এক মাত্র পথ, আমার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখোমুখি আলোচনা’। তবে জেলেনস্কির ওই প্রস্তাবের বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া।
বৃহস্পতিবারের প্রতিনিধি স্তরের বৈঠকে দুদেশই যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বেসামরিক মানুষদের উদ্ধারের পথ করে দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার জবাব মেলেনি। বৈঠকের পরে দুই দেশের মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তৃতীয় দফার বৈঠক বসবে। সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি ধরেই বৈঠক এগিয়ে যাচ্ছে।
বৈঠক শেষের পর জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলক তার সরকারি টুইটারে হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ইউক্রেনের প্রয়োজনীয় ফলাফল এখনও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র বেসামরিক জনগণকে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে একটি সমাধান হয়েছে’।
বৃহস্পতিবার বেলারুশ সীমান্তে শান্তি আলোচনার মধ্যেও কিয়েভ, খারকিভ, ওডেসা, মারিউপোল-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। প্রসঙ্গত, রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ-সহ কয়েকটি শহরের নাগরিকদের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বেসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।