মো .আহসানুল ইসলাম আমিন,স্টাফ রিপোর্টার :
পোল্ট্রি শিল্পে অপার সম্ভাবনাময় মুন্সিগঞ্জের ধারাবাহিক উন্নতি নিঃস্বন্দেহে গৌরবের বিষয়। যেখানে শিক্ষিত বেকার যুবকেরা চাকুরি না পেয়ে আত্বহত্যার পথ বেছে নেয়, সেখানে পোল্ট্রি শিল্প এই বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করার পথ উন্মোচিত করে দিয়েছে। প্রায় ৫ হাজার বেকার যুবক বর্তমানে চাকুরির জন্য অপেক্ষা না করে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করছে,এবং অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। সামান্য কিছু অর্থ নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে আজ তারা বেকারত্ব ঘোচাতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছেন। উপজেলার বয়রাগাদী, মালখানাগর, লতব্দী,বালুচর,রশুনিয়া,মধ্যপাড়া,বয়রাগাদী,কোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বেকার যুবকরা বেকারত্ব ঘোচাতে যুব উন্নয়নের ট্রের্নিং নিয়ে তারা পোল্ট্রি খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
এমনি এক শিক্ষিত যুবক আরিফুল ইসলাম খান সাকিল লেখাপড়া শেষ করে চাকরীর জন্য না ঘুরে যুবউন্নয়নের ট্রের্নিং নিয়ে পোল্ট্রি মুরগির খামার দিয়ে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে দেখে এ এলাকার আরো অনেক যুবক পোল্ট্রির মুরগি পালনে এগিয়ে এসেছেন। অন্যদিকে , পোল্ট্রি শিল্পের উন্নতির ধারাবহিকতাকে অক্ষুন্ন রেখে বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহন করলে এর উৎপাদন আরও কয়েকগুন বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এতো সম্ভাবনা থাকার পরও পোল্ট্রি শিল্প আজ নানমুখি সমস্যায় জর্জরিত। অভিভাবকহীন পরিবারের ন্যায় বিবিধ অস্থিরতা দানা বাধতে শুরু করেছে পোল্ট্রি শিল্পে। বিশেষত বাজার ব্যবস্থার তদারকি না থাকার কারনে বিরাট সম্ভাবনার পোল্ট্রি শিল্প আজ হুমকির মুখে পতিত । ছোট এবং মাঝারি সিংহভাগ খামার বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। যার ফলে এখন আবার সাধারন মানুষদের চড়া মূল্যে ডিম কিনে খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে খামারিরা নানা সংকটের কারণে মুরগির খামারে উৎপাদন বন্ধ করেছিলেন। ফলে হ্যাচারিগুলো বাচ্চা উৎপাদন বন্ধ করে দেন। প্রভাব পড়ে বাজারে। সাময়িক ব্রয়লার, লেয়ার, কক মুরগির সংকট হলেও বর্তমানে বাজারে রয়েছে পর্যাপ্ত আমদানি। ক্রেতা না থাকায় ব্যবসায়ীরা পড়ছেন লোকসানে। এদিকে সেই প্রভাব পড়ছে খামারিদের ওপর। ঠিক এমনই তথ্য জানান পোল্ট্রি সংশ্লিষ্টরা। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, অগ্রিম আয়কর, আমদানি শুল্ক ও করপোরেট ট্যাক্স প্রত্যাহার না হওয়ায় বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে দেশের পোল্ট্রি শিল্প। পোল্ট্রি মুরগির খাবার বিশেষ করে সয়াবিন মিল, ভুট্টার গুঁড়া, গমের গুঁড়া, চালের কুঁড়াসহ সব ধরনের ওষুধের দাম বেড়েছে। ফলে এই খাতের উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়ত লোকসানের দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা বলছেন, অচিরেই এর সুরাহা না হলে বিপদে পড়বে এই শিল্প। ফলে আমিষের ঘাটতিতে পড়বে জনসাধারণ। এই সংকট কাটাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির সুযোগ চেয়েছেন পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ও বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এবং মুরগির খাদ্য, ওষুধ, বাচ্চার দাম, শ্রমিক মজুরি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেলেও, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম তেমন বাড়েনি। তা্ই পোল্ট্রি খামারিদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পোল্ট্রি শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।
অন্যদিকে সরেজমিনে ও একাধিক খামারি জানান, অস্থিতীশীল বাজার ব্যবস্থা, পোল্ট্রি খাদ্য, ঔষধ ও বাচ্চার দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি, অজ্ঞাত রোগের আক্রমন, অপরদিকে উৎপাদিত মুরগি ও ডিমের দাম কম হওয়ায় ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে পোল্ট্রি শিল্প। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে জেলার প্রায় ৬০ ভাগ খামার। বেকার হয়ে পড়ছে এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত কয়েক হাজার পরিবার। এ অবস্থা চলতে থাকলে সম্ভাবনাময় এই শিল্পটি এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা। সুত্র জানায়, বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে গড়ে ওঠা পোল্ট্রি শিল্প কয়েক বছর আগেও ছিল অত্যান্ত লাভজনক একটি শিল্প। স্বল্পপূজির এই শিল্পে উৎসাহি হয়ে ঊঠেছিল শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকেরা। জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছিল ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার পোল্ট্রি খামার। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল বেকার যুবকদের। কিন্তু বর্তমান চিত্র সম্পুর্নই ভিন্ন। সরকারি নজরদারির অভাবে গত কয়েক বছরে এ শিল্পের বাজার হয়ে পড়েছে অস্থিতিশীল। পোল্ট্রি খাদ্যে, বাচ্চা ও ঔষুধের মুল্য বেড়েছে দফায় দফায়। কিন্তু সে অনুপাতে উৎপাদিত ডিম ও মুরগির দাম না বাড়ায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রান্তিক খামারিদের। অধিকাংশ খামারিরা লোকসান দিয়ে তাদের পূজি হারিয়ে ঝনগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে অনেকেই। বাজার বিশ্লেষণকরে জানা গেছে ,চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রতিবস্তা মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে মানভেদে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা। বর্তমানে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা ব্রয়লার খাদ্য ৩ হাজার থেকে ৩২শ, সোনালি খাদ্য ২৬ থেকে ২৮শ ও লেয়ার খাদ্য ২৫ থেকে ২৬শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদিত ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি ও সোনালী মুরগি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। পোল্ট্রির খাদ্যের দাম একবার বাড়লে তা আর কমছে না, কিন্তু মুরগি বা ডিমের দাম এক সপ্তাহ বাড়লে কমছে পরের সপ্তাহেই। এর উপর যোগ হয়েছে ফাউল টাইফয়েড নামক এক নতুন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে একদিনেই মারা যাচ্ছে খামারের শত শত মুরগি।
খামার মালিকদের দাবি, একটি ডিম উৎপাদনে খরচ ছয় টাকার বেশি। এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রতি উৎপাদন খরচ ৯০ টাকার কিছু বেশি। মালিকেরা বলছেন, দাম যখন বেড়ে যায়, তখন চাইলেই উৎপাদন বাড়িয়ে বাড়তি টাকা আয় করা যায় না। আবার যখন কমে যায়, তখন চাইলেও তাৎক্ষণিক উৎপাদন কমিয়ে ফেলা যায় না। ফলে সবসময়ই লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জ পৌর এলাকার ছোট ৬নং খামারী ফয়সাল মোল্লা বলেন, স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভজনক হওয়ায় এ এলাকার বেকার যুবকরা ২০০৫-০৬ সালের দিকে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় গুটি কয়েক ছোট আকারের পোলট্রি খামার দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে খামারের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে উপজেলা জুড়ে বিপ্লব ঘটে এ শিল্পের। কিন্তু সরকারের উদাসীনতা এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে একের পর এক মুরগির খাবারের দাম বাড়তে থাকায় বহু খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও এ ব্যবসায় এখন বড় পুঁজির শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করেছে। ফলে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব অনেক ক্ষুদ্র খামারি। ব্যবসায়ীদের দাবি, পোলট্রি খাতে বছরে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে প্রায় ১০ শতাংশ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণসহ বিগত সময়ে ১০ হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে এ খাত, যা সংকটের দিকে নিয়ে গেছে। ফলে সাশ্রয়ীমূল্যে ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদন ও বিতরণ অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। এটি নিশ্চিত করতে আসন্ন বাজেট ঘিরে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আহাদ আলী বলেন, খামারে এক হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। প্রতিটি ব্রয়লারের ওজন এখন ১ কেজি ৯০০ গ্রাম। প্রতিটি ব্রয়লার মুরগির পেছনে ব্যয় হয়েছে ২৬৫ টাকা। অর্থাৎ এক কেজি ওজনের একটি মুরগি উৎপাদন খরচ ১৪০ টাকা। এখন এ মুরগি পাইকারি বিক্রি করতে হচ্ছে ১১৮ টাকা কেজি দরে। এভাবে আর কতদিন লোকসান দেয়া যায়? খাদ্যের দাম বাড়ানোর পাশাপশি পোল্ট্রি মাংসের দাম না বাড়ালে ক্ষুদ্র খামারিরা হয়তো অচিরেই নিঃস্ব হয়ে যাবে। পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, যুগোপযোগী নীতিমালা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকির অভাবসহ বিভিন্ন কারণে সম্ভাবনাময় পোল্ট্রি শিল্প এখন ধ্বংসের মুখে। খামারী ও ব্যবসায়ীদের ক্রমাগত লোকসানে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের দুঃখ, বেদনা ও হাহাকারে কেউ এগিয়ে আসে না, খামারীদের মধ্যে এখন বোবাকান্না চলছে। পোল্ট্রি খামারীরা ডিম ও মাংস উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করলেও চাহিদার অতিরিক্ত ডিম ও মাংস রপ্তানির কোন ব্যবস্থা না থাকায় লেয়ার, ব্রয়লার খামারী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে। একদিকে খাবারসহ অন্যান্য দ্রব্যের উচ্চমূল্য এবং মুরগি ও ডিমের মূল্য পড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি ডিম উৎপাদনে সব মিলিয়ে ব্যয় হয় ৬ টাকা থেকে সাড়ে ৬ টাকা। সেখানে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতিটি ডিমে খামারী ১ টাকা ২৫ পয়সা থেকে দেড় টাকা লোকসান গুণছেন। একইভাবে এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে খরচ হয় ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা। অন্যদিকে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১শ’ টাকা। প্রতি কেজিতে লোকসান হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এতে উৎপাদন খরচও উঠছে না। এভাবে লোকসান গুণতে গুণতে ক্ষুদ্র ও মাঝারী খামারী ও ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া ক্রমাগত লোকসানের কারণে অনেকে খামার বন্ধ করে দিয়ে দেনার দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জেলার সদর উপজেলার চরডুমুরিয়া গ্রামের সুমিত সরকার নামের একজন পোল্ট্রি খামার মালিক জানান, এক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ৮৮ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, মুরগি কেউ নিতেই চায় না। যার কাছ থেকে যা পাই, সেই দামে বিক্রি করি।সততা পোল্ট্রি খামারির স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান মাসুম বলেন, এই শিল্পটাকে ধরে রাখার জন্য এবং যুবকদের স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি এ খাতে সরকারি প্রণোদনা বাড়াতে হবে। খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকারকে অবশ্যই মাংস ও ডিমের মূল্য বাড়াতে হবে। তা নাহলে বন্ধ হয়ে যাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসব খামার। খামারের শ্রমিক আরিফ বলেন, বেকার ছিলাম, কোন চাকুরি বা কাজ ছিল না। খামারে কর্মস্থান হয়েছে আমার। এই খামারে বেতন দিয়ে চলে আমার পরিবার৷ সব কিছুর দাম বেশি, এত করে খামারের মালিকেরা পড়ছে মহাবিপদে আমাদের বেতন দিতে হয়, তাদেরও চলতে হয়। তবে এই ভাবে চললে খামারিরা পোল্ট্রি ব্যবসায় থেকে দুরে চলে আসবে। এতে আমরা বেকার হয়ে পরবো। পোল্ট্রি খামারি হেলাল বলেন, খাদ্যের দাম বেশি বর্তমান, ঔষধের দাম বেশি, চিকিৎসার খরচ বেশি, সব কিছু দাম বেশি। ডিমের দাম বাড়লে আবার কমে যায়। ঔষধের দাম বাড়লে আর কমে না। এতে আমার খামারিরা লোকসানের মুখে আছি। নতুন একটা রোগ ফাউল টাইফয়েড হয়েছে যা ব্যয় বহুল। জেলা প্রাণীসম্পদকে বার বার বলার পরেও কোন পদক্ষেপ নেয় না। মোস্তাফা বলেন, বর্তমানে পোল্ট্রি খামারিদের অবস্থা খুবই খারাপ, যারা পোল্ট্রি খামার করতেছে বাচ্চার দাম খাদ্যের দাম অত্যাধি বেশি যা বলার মত না । অন্যদিকে মুরগী উৎপাদন করে মাংসের দাম ও ডিমের দাম বাজারে কোন সম্মনয় নাই।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কুমুদ রঞ্জন মিত্র মুঠোফোনে জানান, খামারিদের আমরা সম্প্রতি প্রণোদনা দিয়েছি । অস্থিতীশীল বাজার ব্যবস্থায় পোল্ট্রি শিল্প আজ নানমুখি সমস্যায় জর্জরিত ও ‘হুমকির মুখে সম্ভাবনাময়’ পোল্ট্রি শিল্প’সম্পর্কে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডাঃ এনায়েত করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলতে পারবেন। জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডাঃ এনায়েত করিম মুঠোফোনে জানান, আমি তিন দিনের ছুটিতে আছি । রবিবার অফিসে আসেলে বস্তারত বলতে পারবো । ছুটিতে থাকায় তিনি মুঠোফোনে বক্তব্য প্রদাণে রাজি হননি । ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, দুই বছর ধরে দেশের ফিডশিল্প খাতে সংকট তৈরি হয়েছে। কারণ এ খাতের ৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। প্রধান কাঁচামাল সয়াবিন মিল ও ভুট্টার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। ডলারের দাম বাড়ায় পশুখাদ্যের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ খাতে কর সহায়তা না পেলে সামনে বিশ্বমন্দা মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। এছাড়াও কিছু মজুতদার ও মুনাফালোভী খারাপ লোক আছে, তারা নিজেরা, আটকে রেখে বাইরে ছাড়ছেন কম। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে বাইরে থেকে যে উপাদান আনতে হয় তা অতিরিক্ত এনেও অনেকে গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সংকট দেখান। আমরা এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।