অধিকৃত ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে কথিত গণভোটের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
কাতারভিতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ও রাশিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইউক্রেনের খেরসন, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও জাপোরিজ্জিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যেই এ গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে। যা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ।
খবরে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত স্ব-ঘোষিত স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ক্রিমিয়া এবং সেই সঙ্গে দক্ষিণ খেরসন ও জাপোরিজিয়া প্রদেশের লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কে আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে ভোটদান শুরু হয়ে চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত।
২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে জোরপূর্বক ক্রিমিয়া দখল করে গণভোটের আয়োজন করেছিল রাশিয়া। যা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হয়। অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার ওই গণভোটের আয়োজনকে কখনই স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্ব সম্প্রদায়।
গণভোটের এই আয়োজন যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই গণভোট প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। এই ভোটের ফলাফলকে কখনোই তারা স্বীকৃতি দেবে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কঠোর সমালোচনা করে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেন, জাল গণভোট, কিছুই পরিবর্তন করতে পারবে না।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের একজন বলেছেন, গণভোটের ফলে বিশাল অঞ্চল ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। এতে কিয়েভকে সমর্থনকারী পশ্চিমাদের ওপরেও চাপ বাড়বে।