প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব সদর দপ্তর এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লিখিত এলাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে হৃদয়-মিম কেমিক্যাল কোম্পানী, যাত্রাবাড়ীকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, মাহির কনজিউমার প্রডাক্টস, যাত্রাবাড়ীকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, রাসেল এন্টারপ্রাইজ, যাত্রাবাড়ীকে নগদ- ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা, জামিল কনজিউমার লিমিটেড, যাত্রাবাড়ীকে নগদ- ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, এইচ আর কসমেটিক্স, কেরাণীগঞ্জকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, বিজলী ক্যাবলস্ লিমিটেড, কেরাণীগঞ্জকে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, নকল হেয়ার, ফেস ক্রিমসহ অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদনের অপরাধে একটি প্রতিষ্ঠানকে নগদ- ৭,০০,০০০/- (সাত লক্ষ) টাকা করে ০৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট নগদ- ২০,২৫,০০০ (বিশ লক্ষ পঁচিশ হাজার) জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক আনুমানিক ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা মূল্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, নকল বৈদ্যুতিক তার ও প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করে আসছিল।