র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারীসহ অপহরন হওয়া ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরনকারীকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে আসছে।
গত ২৬/১২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ১৮:০০ ঘটিকায় মোঃ বিল্লাল হোসেন (২২) তার মামাত বোন ভিকটিম নুনিয়া ইসলাম (০৪)’কে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে বাহিরে নিয়ে যায় এবং কিছুক্ষন পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়। অতঃপর বিল্লাল পূর্বপরিকল্পিতভাবে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে ভিকটিম’কে প্রথমে জিঞ্জিরা ফেরীঘাটে নিয়ে যায়। এরপর সে তার অপর দুই সহযোগী সাগর ও জুয়েল’কে খবর দেয়। পরবর্তীতে সাগর এসে তাদের পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিমের বাবা মোঃ দেলোয়ার হোসেন’কে আনুমানিক ১৯:৩০ ঘটিকায় পূর্বেই সংগৃহিত রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া একটি সিম ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার মেয়েকে অপহরণের বিষয়ে জানায় এবং ভিকটিম’কে জীবিত ফেরত পাওয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ভিকটিমের বাবা অপরহণকারীদের দাবিকৃত টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র্যাব অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষে ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার চকবাজার থানাধীন সোয়ারীঘাট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ হতে অপহৃত ভিকটিম নুনিয়া ইসলাম (০৪)’কে উদ্ধার এবং ০৩ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। মোঃ বিল্লাল হোসেন (২২), ২। মোঃ সাগর (২২) ও ৩। মোঃ জুয়েল (২২) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট হতে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত সিম ও মোবাইলসহ ০৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত অপহরণের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।