বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী ঘটনা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর আসল খুনি।
এর আগে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অনুমান নির্ভর বক্তব্য দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে তার কোনো নাম আসেনি। তিনি এর ধারেকাছেও ছিলেন না।’
‘জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর খুনি’ বলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিকে কেন খুনি বলব না। আমার কাছে ছবি আছে। ১৯৮৭ সালে খালেদা জিয়া এবং কর্নেল ফারুক- কথা বলছেন। কর্নেল ফারুক আর রশিদের বিবিসির ইন্টারভিউতে আছে জিয়াউর রহমান তাদের সঙ্গে ছিল।’
বুধবার ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদকে ধন্যবাদ দিতে জাতীয় সংসদে তোলা একটি সাধারণ প্রস্তাবের ওপর প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের আনা এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ প্রস্তাব সংসদে পাস হয়।
জয়বাংলা জাতীয় স্লোগানের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন জাতির পিতা ছয় দফা দিলেন। তখন তিনি সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে বেড়ান। সেই সময় শেখ ফজলুল হক মনিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এই স্লোগানটি ছাত্রলীগের মাধ্যমে মাঠে নিয়ে যাও।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেন জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে। এরপর থেকে এই স্লোগান হয় যায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। বিএনপির একজন সংসদ সদস্যের জয় বাংলা স্লোগান জাতীয়করণ নিয়ে সংসদে দেয়া বক্তব্য প্রমাণ করেছে তারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না। তাদের অন্তরে এখনো পেয়ারে পাকিস্তান রয়ে গেছে এবং তারা পাকিস্তানের গোলামীটাই পছন্দ করে। তাদের হৃদয়ে যে পেয়ারে পাকিস্তান বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের বক্তব্যে এটাই প্রকাশিত হয়েছে।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর ক্ষমতায় আসার পর, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে কাজগুলো করেছিল রহমানও একই কাজ করেছিলেন যখন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়া হত। তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়। জিয়ার অনুসারীরা এখনো সেই পুরনো কাজই করছে।
সরকারি এবং বিরোধী দলের মোট ১৯ জন সংসদ সদস্য প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী এ আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।