ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সাগর থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে এই হামলা চালানো হয় বলে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিবিসি জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ওই কারখানায় তৈরি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কভা’ ডুবে যায়। ১২ হাজার টনের এই যুদ্ধজাহাজ হারানোর ঘটনা রাশিয়ার জন্য ‘বড় বিপর্যয়’ বলে মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের যে কারখানায় আঘাত করেছে সেখানে বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল তৈরি হতো। ভাইজার নামে ওই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানাটি কিয়েভের শহরতলী যুলিয়ানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই কারখানাকে লক্ষ্য করেই তারা তাদের ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
এই হামলার ফলে কারখানাটির দূর ও মাঝারি পাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ও মেরামতের সরঞ্জাম তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে তাদের একজন সাংবাদিক বলেছেন, কিয়েভের ওই সামরিক কারখানাটি আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ওয়ার্কশপ এবং প্রশাসনিক ভবনের।
একটি ওয়ার্কশপের মালিক ৪৭-বছর বয়স্ক আন্দ্রেই সিজভ এএফপিকে জানিয়েছেন, সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে রাতের বেলায়। তিনি বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ আমার নিরাপত্তা রক্ষী ফোন করে জানায় একটা বিমান হামলা হয়েছে। পাঁচবার আঘাত হানা হয়েছে। আমার একজন কর্মচারী অফিসে কাজ করছিলেন। তিনি বিস্ফোরণের ধাক্কায় চেয়ার থেকে ছিটকে পড়েন।
তিনি বলেন, তার ধারণা ইউক্রেন মস্কভা রণতরী আঘাত করে ডুবিয়ে দেওয়ার বদলা নিচ্ছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, কিয়েভের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তারা আরো জোরদার করছেন। কারণ তাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের দিক থেকে রাশিয়ার মাটিতে চালানো কোনরকম নাশকতামূলক হামলা ঠেকানো।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া অভিযোগ করে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনের হেলিকপ্টার সীমান্ত অতিক্রম করেছে।
সূত্র: বিবিসি