কাতার প্রতিনিধি : ই এম আকাশ
প্রায় ২৩ ঘণ্টার রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোঃ
নজরুল ইসলাম শেরাটন ঢাকায় সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় কালে জানান,
কাতারের মহামান্য আমির বাংলাদেশ থেকে
যাবার আগে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের আশা যেমন ব্যক্ত করেছেন, তেমনি ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে দুদেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়েছে তার উপস্থিতিতে।
কাতারের আমির ঢাকায় এসেছিলেন সোমবার বিকাল ৫টার দিকে। বিশেষ বিমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন।
এরপর তাদের উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়, মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হচ্ছে।
কাতারে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ কাতার জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
এসব কারণে কাতারের আমির শেখ তামিমের এ সফরকে ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ হিসেবেই দেখছে সরকার। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কাতারের আমিরের কাছে প্রস্তাব রাখা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।
আর গত দুই দশকের মধ্যে কাতারের কোনো আমিরের বাংলাদেশে এটিই প্রথম সফর। সবশেষ ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
পরিশেষে বলা যায়, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ।