নিজস্ব প্রতিবেদক
আমি আমার ভেতরের ক্রোধ থেকে লেখার চেষ্টা করি। যে কথা মুখে বলতে পারিনা সে কথা লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করি। অন্যায়ের প্রতিবাদ হিসেবে লেখালেখি করি। এছাড়াও সমাজ ও দেশের প্রতি আমার যে দায়বদ্ধতা আছে সেই দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখি করি। একজন লেখক একটি সমাজ ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। লেখককে সমাজ সচেতন হয়ে লিখতে হয়। লেখক তার লেখার মধ্য দিয়ে আত্মার শান্তি খুঁজে পান। আমাদের এই বাংলাদেশটার অনেক রক্তঝরা ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে। লেখককে ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা শহিদের রক্তের বিনিময়ে একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই দেশ ও তার ইতিহাসকে লেখার মধ্য দিয়ে তুলে ধরা একজন লেখকের মৌলিক কাজের মধ্যে পড়ে। কথাগুলো বলছিলেন তরুণ লেখক ও গবেষক ইমাম মেহেদী।
গত ২২ মে বুধবার বিকেলে ‘লেখক হয়ে ওঠার গল্প’ অনুষ্ঠানে লেখক হিসেবে জীবনের গল্প শোনান ইমাম মেহেদী। বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামে সামাদিয়া দারুল উলুম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। ‘জ্ঞানের পাঠশালা’ নামের সাংস্কৃতিক সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জ্ঞানের পাঠশালার সভাপতি ডালিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মো. আরিফ মোল্লা। এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হোসনে জাহান ইরানি, সামাদিয়া দারুল উলুম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আ ন ম লুৎফর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক কাজী আফিফা আখতার, জ্ঞানের পাঠশালার উপদেষ্টা খালিদুর রহমান খান ও মেহেরনিগার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঈন খান। এসময় উপস্থিত দর্শকের মধ্য থেকে প্রশ্নোত্তোর পর্বে লেখক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জ্ঞানের পাঠশালার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাইসা রহমান ঊর্মি।