Wednesday , 1 May 2024
শিরোনাম

অশ্রু ভেজা চোখে পুরুষদের বিদায় দিচ্ছেন রুশ নারীরা

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি রিক্রুটমেন্ট সেন্টারে উপস্থিত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু। এখানে স্বামী, বাবা বা ভাইদের বিদায় দিতে এসেছেন তারা। এখানে যেসব পুরুষদের জড়ো করা হয়েছে তাদের ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে পাঠানো হবে।

পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে পুরুষ সদস্যদের জড়িয়ে ধরছেন অনেকে।

কয়েকজন নারী নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলছেন।

তারা বলছেন, তাদের আশা, সরকারি আদেশ অনুযায়ী তাদের পরিবারের যেসব পুরুষ সদস্য এখানে জড়ো হয়েছেন, তাদের যুদ্ধের সম্মুখভাগে পাঠানো হবে না।

৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারী তার এক আত্মীয়কে জিজ্ঞেস করছেন- তাদের কি সামরিক প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে?

তার পাশে অন্যান্য নারীরা তাদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের অশ্রু ভেজা চোখে বিদায় জানাচ্ছেন।

৬০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ানো একজন বলছেন, হ্যাঁ তাদের মনে হয় সামরিক প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে, আমি জানি না ।

ওই নারী বৃদ্ধাকে আরও বলেন, আমি মনে করি তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি জানি না। কেউ জানে না। আমি আশা করি তারা (যুদ্ধে) পেছন দিকে থাকবে।

তার ২৭ বছর বয়সী ছেলেকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে।

নিকিতা নামে ২৫ বছর বয়সী এক সেনা তার ২২ বছর বয়সী বান্ধবী আলিনার হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। আলিনার চোখ দিয়ে ঝড়ছে পানি।

আলিনা বলেন, আমি জানি না কি বলব। আমি হতভম্ব।

নিকিতা বলেন, আমাকে যুদ্ধের জন্য ডাকা হয়েছে এতে আমি অবাক হইনি। কিন্তু আমার পরিবার অবাহ হয়েছে। আপনাকে যদি যেতে হয়। তাহলে আপনাকে যেতে হবে।

৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা গালিনা ও তার পরিবার এসেছে তার মেয়ের স্বামীকে বিদায় জানানোর জন্য, যিনি আগে সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন।

বৃদ্ধ গালিনা বলেন, তার মেয়ে ক্যান্সার আক্রান্ত। তার ক্যামো থেরাপি চলছে। এমন সময় তার মেয়ের স্বামীকে যুদ্ধে চলে যেতে হচ্ছে। তিনি জানেন না এখন কি করবেন। তার মেয়েকে দেখাশুনা করার জন্য এখন তার ১২ বছরের নাতিই শুধু পাশে রয়েছে।

এদিকে গত শুক্রবার ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে সেনা জড়ো করার ডিক্রি জারি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর পুরো দেশজুড়ে পুরুষদের কাছে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার নোটিশ পাঠানো হচ্ছে।

সূত্র: এএফপি

Check Also

মহান মে দিবস আজ

আজ মহান মে দিবস। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বীকৃতির দিন। শ্রমিকদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x