ঢাকা , শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাণীশংকৈলে পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল- সমাবেশ। প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে স্ত্রী, রাগে হেলিকপ্টারে নতুন বউ আনলেন স্বামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, নাগরিকবান্ধব সংস্কারও চালিয়ে যাচ্ছি- জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা সরকার নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শাহ্ আল-আমিন আমানত মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের সম্পর্ক দিন দিন বেড়েই চলেছে, মালয়শিয়ার দাতুক ডক্টর কাসিম এইচজে মনসোর এর সাথে বৈঠক জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় বেশিরভাগ দেশের ‘ওয়াক আউট’ ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করছেন গোলাম জাকারিয়া ফরিদগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের অধীনস্থ ১৫ টি ইউনিটের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহে ৩ সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কাপ্তাই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কিছু ব্রিফিং সমূহ ২০২৫

‘আনলক বিগ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ড. ইউনূস

সাংবাদিক

নিউইয়র্কে থিয়ারওয়ার্ল্ডের বার্ষিক গ্লোবাল এডুকেশন ডিনারে মর্যাদাপূর্ণ ‘আনলক বিগ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে নিউইয়র্কের এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অগ্রণী ভূমিকা এবং শিক্ষার প্রতি দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং থিয়ারওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সারা ব্রাউন। এসময় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডিকেও সম্মাননা জানানো হয়। তবে ইউনূসের দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণভিত্তিক উদ্যোগ এবং শিক্ষাকে মিশনের অংশ করার প্রচেষ্টা অতিথিদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

গর্ডন ব্রাউন বলেন, ‘গত ৫০ বছরে কোনো বেসরকারি খাতের প্রকল্প মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অবদান রাখতে পারেনি।’

পুরস্কার গ্রহণকালে ড. ইউনূস বলেন, ‘খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো ঋণও একটি মৌলিক মানবাধিকার। আর্থিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দিলে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে শিক্ষাকে যুক্ত করেছি, যাতে নারীরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে।’

তিনি প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের উদ্যোক্তা হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যবসাকে মানবকল্যাণের শক্তি হিসেবে ব্যবহারের পাঠ দিতে হবে।

ড. ইউনূস আরও যোগ করেন, ‘মানবজাতির সব সমস্যার সমাধান ব্যবসায়িক উপায়ে করা সম্ভব।’

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫৫৩ Time View

‘আনলক বিগ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ড. ইউনূস

আপডেটের সময় : ০৫:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিউইয়র্কে থিয়ারওয়ার্ল্ডের বার্ষিক গ্লোবাল এডুকেশন ডিনারে মর্যাদাপূর্ণ ‘আনলক বিগ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে নিউইয়র্কের এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অগ্রণী ভূমিকা এবং শিক্ষার প্রতি দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং থিয়ারওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সারা ব্রাউন। এসময় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডিকেও সম্মাননা জানানো হয়। তবে ইউনূসের দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণভিত্তিক উদ্যোগ এবং শিক্ষাকে মিশনের অংশ করার প্রচেষ্টা অতিথিদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

গর্ডন ব্রাউন বলেন, ‘গত ৫০ বছরে কোনো বেসরকারি খাতের প্রকল্প মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অবদান রাখতে পারেনি।’

পুরস্কার গ্রহণকালে ড. ইউনূস বলেন, ‘খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো ঋণও একটি মৌলিক মানবাধিকার। আর্থিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দিলে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে শিক্ষাকে যুক্ত করেছি, যাতে নারীরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে।’

তিনি প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের উদ্যোক্তা হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যবসাকে মানবকল্যাণের শক্তি হিসেবে ব্যবহারের পাঠ দিতে হবে।

ড. ইউনূস আরও যোগ করেন, ‘মানবজাতির সব সমস্যার সমাধান ব্যবসায়িক উপায়ে করা সম্ভব।’