বাংলাদেশের শ্রম খাত নিয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় আসেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে সম্পন্ন হবে? এর বাইরে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও শ্রমমানের অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছে প্রতিনিধি দলটি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও শ্রম খাতের কয়েকটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বিষয়গুলো জানতে চান ইইউর উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইইউর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে বৈঠককালে নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুখ্য সচিব শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন।
পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে তিনি জানান, এর জন্য শ্রমিকরা দায়ী নয় এবং এর পিছনে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতা রয়েছে। একটি মহল নির্বাচনের আগে নিরীহ শ্রমিকদের ব্যবহার করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে।
সরকার মানবাধিকার, শ্রমমান ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও মুখ্যসচিব ইইউ কর্মকর্তাদের জানান।
শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইইউ কর্মকর্তারা শ্রম পরিস্থিতি, শ্রম আইনের সংশোধন ও মজুরিসংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান।
শ্রমিকনেতারা দলটিকে জানান, সম্প্রতি সরকার শ্রম আইনে যে সংশোধনী এনেছে, তা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়নি। পোশাকশিল্পের জন্য যে মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে, তাও চড়া মূল্যের এই বাজারে যথেষ্ট নয়।
ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলেসহ ইইউ কর্মকর্তারা বৈঠকগুলোয় উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মঙ্গলবার দলটি মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ার দারুণ অনুভূতি ও রোমাঞ্চকর ভ্রমণের কথা জানিয়েছেন।