ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে ইতালির রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিশেষ এই দিনে দূতাবাসের অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল- জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, বাণী পাঠ, দোয়া-মোনাজাত, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে নির্বাচিত অংশ পাঠসহ বিশিষ্ট আলোচকদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা এবং প্রবাসী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন। সকাল ১০টায় দূতাবাসের সভাকক্ষে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানের শুরুতেই দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেননি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তি সংগ্রামেও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও মানুষকে প্রেরণা যোগাবেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালিকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করা। গণমানুষের এ অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সারাজীবন আন্দোলন করেছেন এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে তার প্রায় ১৩ বছর কেটেছে। বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গেঁথেছিল যার ফলে বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।