ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, রামপুরা থানা শাখার আয়োজনে পরিচিতি সভা ও হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠিত জামায়াত আমিরকে সেনাপ্রধানের ফোন, নিলেন স্বাস্থ্যের খোঁজ ‘সৎ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থাকা অফিসাররা পদোন্নতির দাবিদার’ দেশ ও জাতির উন্নয়নে অগ্রাধিকার ‘ভালো মানুষ’ হওয়া: সেনাপ্রধান নির্ধারিত সময়েই হবে নির্বাচন, এক দিনও পেছাবে না: প্রেস সচিব আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ: ফয়জুল হক ‎জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে অবমাননার প্রতিবাদে মির্জাপুরে বিক্ষোভ মিছিল ‎অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক,কর্মচারীদের বিদায় ওএডহক কমিটির সভাপতিদের সাথে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু

ইরানে সামরিক হামলায় নীতিগত অনুমোদন ট্রাম্পের

সাংবাদিক

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে সামরিক হামলার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে শেষ পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপে যেতে প্রস্তুত তিনি। তবে এখনই হামলা না চালিয়ে তেহরানের সম্ভাব্য সমঝোতার পথ খোলা রাখছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানের ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত এ স্থাপনাটি ধ্বংসে প্রয়োজন হবে উচ্চমাত্রার বিধ্বংসী বোমা। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান কৌশলগত লক্ষ্য।

সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি করতেও পারি, নাও করতে পারি।” পাশাপাশি তিনি ইরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আগামী সপ্তাহটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে, এমনকি পুরো সপ্তাহও লাগতে নাও পারে।”

তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ট্রাম্পের এই হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইরান আত্মসমর্পণ করবে না। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করলে তার চরম মূল্য দিতে হবে।”

এদিকে গত কয়েক দিনে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে তৃতীয় একটি নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার। দ্বিতীয় একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ রওনা হয়েছে আরব সাগরের দিকে।

যদিও পেন্টাগনের দাবি—এগুলো প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি, তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি আসলে সম্ভাব্য আক্রমণের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি সুসংহত করার কৌশল। বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনার ইঙ্গিতই মিলছে এতে।

উল্লেখ্য, ইসরাইল-ইরান চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা ৪৫০ ছাড়িয়েছে। পাল্টা হামলায় ইসরাইলেও নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৩২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
৫৬৬ Time View

ইরানে সামরিক হামলায় নীতিগত অনুমোদন ট্রাম্পের

আপডেটের সময় : ০৩:৩২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে সামরিক হামলার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে শেষ পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপে যেতে প্রস্তুত তিনি। তবে এখনই হামলা না চালিয়ে তেহরানের সম্ভাব্য সমঝোতার পথ খোলা রাখছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানের ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত এ স্থাপনাটি ধ্বংসে প্রয়োজন হবে উচ্চমাত্রার বিধ্বংসী বোমা। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান কৌশলগত লক্ষ্য।

সম্প্রতি এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি করতেও পারি, নাও করতে পারি।” পাশাপাশি তিনি ইরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আগামী সপ্তাহটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে, এমনকি পুরো সপ্তাহও লাগতে নাও পারে।”

তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ট্রাম্পের এই হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইরান আত্মসমর্পণ করবে না। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করলে তার চরম মূল্য দিতে হবে।”

এদিকে গত কয়েক দিনে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে তৃতীয় একটি নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার। দ্বিতীয় একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ রওনা হয়েছে আরব সাগরের দিকে।

যদিও পেন্টাগনের দাবি—এগুলো প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি, তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি আসলে সম্ভাব্য আক্রমণের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি সুসংহত করার কৌশল। বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনার ইঙ্গিতই মিলছে এতে।

উল্লেখ্য, ইসরাইল-ইরান চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইরানে নিহতের সংখ্যা ৪৫০ ছাড়িয়েছে। পাল্টা হামলায় ইসরাইলেও নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন।