কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: আজ শনিবার (০১ জুলাই) উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন জায়গার বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই লাগামহীন দেশের কাঁচা মরিচের বাজার। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ২৫ জুন সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। তবুও কমছে না মরিচের দাম।
এবার কুড়িগ্রামে ১০০০ টাকা, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৮০০ টাকা, রৌমারীতে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, আবার সেই একই কাঁচা মরিচ নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। যা ক্রয়সীমার একেবারেই বাইরে বলে দাবি ক্রেতাদের। তারা বলেন, ঈদকে ঘিরে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে এই অবস্থা।
ঈদের দুইদিন পর কাঁচা বাজার করতে আসা সিরাজুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘কিছু দিন আগোতো ত্রিশ টাকাট আড়াইশ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনছং। আজক্যা কেংবা এত দাম, কেনায় বাদ দিলং।’
রণবীর নামে অন্য এক ক্রেতা বলেন, ‘ঈদকে ঘিরে স্থানীয় সিন্ডিকেটের কারণে এ অবস্থা। বিকালে বাজার শুরুতেও ছিল ৪০০ টাকা কেজি, হঠাৎ সন্ধ্যাবেলা থেকে ৫৫০ টাকা মরিচের কেজি এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’
আর এমন আকাশ ছোঁয়া দামের ব্যপারে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের বাজারে পাইকারিতে দাম বাড়ায়; এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। এ বিষয়ে কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, ‘আসলে ঈদ এবং বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম একটু চড়া তবে কিছুদিনের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যাবে।’
তবে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদের একদিন আগেও বালারহাট খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে। যা কিনা বর্তমানের দামের সাথে আগের দামের চিত্র পুরোই ভিন্ন।