মোঃ মমিন হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে বালুবাহী ট্রাকের ধুলাবালুতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে একদল বালুখেকো। রাতদিন ভর বাংলা ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন ও ভেকু ব্যবহার করে বিক্রির উৎসব চলছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। আর এসব বালু গ্রাহকের গন্তব্য স্থানে ছোট বা বড় ড্রাম ট্রাকে যাত্রাপথে আঞ্চলিক সড়ক অথবা মহাসড়কে ঢেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার সাথে না নেওয়ার কারণে পরিবেশ দূষণসহ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাস্তা-ঘাটে চলা জনসাধারণ ও রাস্তা সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের।
এছাড়াও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু হাইওয়ে সড়ক এবং এলেঙ্গা-জামালপুর মহাসড়কে অধিকাংশ অবৈধ ফিটনেস বিহীন বালুবাহী ট্রাকের জন্য কিছুদিন পরপরই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমিক ও পথযাত্রী। আশ্চর্য জনক বিষয় হচ্ছে ৩০শে মার্চ বালু সরবরাহকারী ট্রাক পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের পর ট্রাক থেকে মাদকসেবনের সরঞ্জাম পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, এসব ট্রাকের চালক হেলপারগণ মাদক সেবন করে এবং এর চালকদের মধ্যে অধিকাংশই অল্পবয়সের যুবক। অন্যদিকে খোলা পরিবেশে ট্রাকে বালু সরবরাহের ফলে মোটরসাইকেল সহ ইজিবাইকের চালকগণের চোখে মুখে ধুলাবালি গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা এবং যেকোনো মুহূর্তে সম্ভাবনা থাকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার। সুশীল সমাজের নাগরিকরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলাচল করার বিষয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পথযাত্রী মোঃ রাকিব হোসেন বলেন, বাড়ি থেকে পরিষ্কার জামাকাপড় পড়ে-বের হলে দিনরাত বালুবাহী ট্রাক চলাচলের ফলে পোশাক অপরিষ্কার হয়ে যায় এছাড়াও চোখে ধুলাবালির কণা গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। এখন তো রাস্তায় চলাচল করা কষ্ট হয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপদ পরিবেশে ঢেকে সরবরাহ করলে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাবে।
অটো ইজিবাইক চালক মোঃ জুম্মত আলী ও হাফিজুর রহমানসহ দোকান-পাটের ব্যবসায়ীরা জানান, গাড়ি চালানোর সময় হাইট্রোলি ট্রাক ও ড্রাম ট্রাকের বালু যাওয়ার সময় ধুলা ও বালুকণা চোখে যায় মুখে বারি লাগে খুবি সমস্যা হয় রাস্তায় চলতে। অন্যদিকে ধুলাবালুর কারণে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষুন্ন হচ্ছে।