ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও চেরনিহিভ শহর থেকে সব সেনা সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কিয়েভ ও চেরিনিহিভ থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া এখন সম্পন্ন হয়েছে।
পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা স্থানীয় সময় বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেলারুশ ও রাশিয়ায় পুনঃসংহত ও পুনর্গঠনের জন্য কিয়েভ এবং চেরনিহিভ থেকে রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করেছে।’
পেন্টাগন মুখপাত্র জন কিরবি পরে যোগ করেন, ‘আমরা কিয়েভ বা চেরনিহিভের আশেপাশে বা তার আশেপাশে রুশ বাহিনী দেখতে পাচ্ছি না।’ তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘তার কৌশলগত লক্ষ্যগুলোর ক্ষেত্রে অর্জন করেছেন শূন্য’।
জন কিরবি বলেন, ‘তিনি আসলে কেবল একটি ছোট জনসংখ্যাবিশিষ্ট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন।’ রুশ বাহিনী খারকিভ দখলে নিতে পারেনি বলেও জানান তিনি।
এর আগে রাশিয়া ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের দিকে নজর দেবে। তাদের আগ্রাসন চলবে দোনবাসকে কেন্দ্র করে। রাজধানী কিয়েভ ও এর আশাপাশের অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেবে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পেন্টাগনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন যে, রুশ সেনারা ভবিষ্যতে কিয়েভে ফিরে যেতে পারে এবং পশ্চাদপসরণকারী সেনারা ফিরে আসবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইউক্রেনে পাঠানো ১৩০টি রুশ ব্যাটালিয়নের মধ্যে ৮০টিরও বেশি এখনও সেখানে রয়ে গেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এপি (অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস) জানিয়েছে, রুশ সেনা প্রত্যাহারের সংখ্যা কমপক্ষে ২৪ হাজার জন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।
সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।
রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।