গ্রিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপকূলীয় শহর পাইলোসের কাছে ডুবে যাওয়া একটি নৌকায় থাকা কয়েক শ’ শরণার্থী এবং অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নৌকাটিতে কমপক্ষে ৭৫০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
এ ঘটনাকে ভূমধ্যসাগরে সংঘটিত সবচেয়ে বড় ট্রজেডি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৫০জন যাত্রী নিয়ে মাছ ধরার নৌকাটি লিবিয়া থেকে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। মাঝে নৌকাটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় এবং একপর্যায়ে ডুবে যেতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলের পেলোপনিস উপদ্বীপের সমুদ্রে প্রায় ৮০ কিলোমিটার গভীর পানিতে ডুবে যায়। বুধবার (১৪ জুন) সকালের দিকে উদ্ধারকাজে নামে গ্রিসের উপকূলরক্ষীরা।
এ সময় কমপেক্ষে ৭৯টি মরদেহ এবং ১০৪কে জীবিত উদ্ধার করে তারা। এ প্রতিবেদনে লেখাপর্যন্ত কয়েক শ’ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে।
উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১০৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। মরদেহ উদ্ধার হয়েছে ৭৯টি। ওই নৌকায় প্রায় ৭৫০ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বাসহ নারী এবং শিশুরাও ছিল। অধিকাংশ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে গ্রিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা সমুদ্রে নৌকাটির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারলেও সেখানে থাকা যাত্রীরা বার বার সাহায্যে আবেদন প্রত্যাখান করেছে।
বৃহস্পতিবারও দিনভর উদ্ধারকাজ চলে । কিন্তু সবাইকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। নৌকাটির কিছু অংশ গভীর সমুদ্র থেকে মিলেছে।
তবে গ্রিসের কর্মকর্তারা দাবি করেছে, নৌকাটিতে মূলত সিরিয়া, মিশর এবং পাকিস্তানের শরণার্থীরা ছিলেন। তারা লিবিয়া হয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। উদ্ধারকৃত সবাইকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আভাস পাওয়া গেছে যে, তারা একটি জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করতে যাচ্ছিলেন।