লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে আসা বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সামনেই অভিযোগকারীকে গলা ধাক্কা দিলো লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। অভিযোগকারী আবুল কলাম আজাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) পদে কর্মরত। রোববার (২৮মে) দুপুরে ১টা থেকে পাটগ্রাম উপজেলার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের তদন্ত ।
উল্লেখ্য, গত ১৭মে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫০হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের লিখিত অভিযোগ ঢাকার হিসাব মহানিয়ন্ত্রক প্রেরণ করেন ভুক্তভোগী তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) পদের সরকারি এ চাকুরিতে যোগদেন। একই পদের কনিষ্ঠ কর্মচারীদের বেতন পূর্বে যোগ দেওয়া কর্মচারীদের বেতনের চেয়ে বেশি হওয়ায় ২০০৫ সালে বেতন সমতাকরণে জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী তথ্য বিবরণী হালনাগাদ করতে আদেশ দেয় সরকার। সে অনুযায়ী সরকারের আইবাস প্লাস ও পে ফিক্সেশন অনলাইনে বেতন নির্ধারণী তথ্য হাল নাগাদ করতে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের নিকট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। ওই সময় ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয় সিরাজুল। পরবর্তীতে ঘুষ নিয়ে কাজ করতে না পারায় ওই টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু টাকা না দিয়ে নানা কৌশলে প্রায় ৪বছর ধরে হয়রানি করছে অভিযুক্ত হিসাব রক্ষক সিরাজুল।
বিভাগীয় তদন্ত কর্মকর্তা ডুপুটি ডিপুশনাল রবিউল ইসলাম খান পুরো ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এরকম ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো নয়। তদন্ত শেষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।