মনির হোসেন ঃপ্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে চাঁদপুরে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপ্রধান ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের পরিচালনায় সভায় জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেত্রীবৃন্দ সহ সুধীজন বক্তব্য রাখেন।
সভায় জানা যায়, এবার জেলায় ২১৯ টি মন্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৩৬ টি, শাহরাস্তিতে ১৮ টি, হাজীগঞ্জে ২৯ টি, ফরিদগঞ্জে ২০ টি, মতলব উত্তরে ৩১ টি, মতলব দক্ষিণে ৩৮ টি, হাইমচরে ৬ টি এবং কচুয়ায় ৪১ টি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাড়া দেশে পূজা মন্ডপ গুলোর জন্য ২১ টি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা গুলো হলোঃ- মন্দির/মন্ডপে নিজস্ব উদ্যেগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চ শব্দ করে মাইক/পিএ সেট এবং আতসবাজি ব্যবহার করা যাবেনা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আনুষ্ঠানিক আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা তাৎক্ষনিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে হবে। সেচ্ছাসেবকদের ছবিসহ বড় আকারের আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে এবং যানবাহন চলাচলে যাতে বিঘ্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা পূজা মণ্ডপ গুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিব। তারপরও প্রতিটি মন্ডপে আপনাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোভিটের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পুজার অনুষ্ঠানে যেন সবাই মাস্ক ব্যবহার করে। যে কোন ইনফরমেশন মোবাইলের মাধ্যমে জানাবেন। দুটি রেজিট্রেশন খাতা ব্যবহার করতে হবে। কেউ যেন কোন গুজব ছড়াতে না পারে সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। আমরা সবাই মিলে এই চাঁদপুর জেলার সার্বজনীন উৎসব উদযাপন করবো।
অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) বলেন, সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা মেনে চললেই পূজা নির্বিঘ্নে পালিত হবে। ২৪ ঘন্টা ডিউটি করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, সিসি টিভি লাগানোর কথা। বিদ্যুৎ সমস্যাটা বৈশ্বিক সমস্যা, তাই বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তবে অবশ্যই বিকল্প ব্যবস্থা যেমন জেনারেটর রাখতে হবে। গতবারের মত ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্যে সবাই সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেনঃ- নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বেলায়েত, এনএসআই এর উপ-পরিচালক শাহ আরমান আহমেদ, প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, কোস্ট গার্ড চাঁদপুর এর প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহঃ-পরিচালক মোঃ সাহিদুল ইসলাম, ইসলাসিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ এমদাদুল ইসলাম মিঠুন, চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, হাইমচর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজয় মজুমদার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের হিতেশ চন্দ্র সরকার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কিশোর কুমার ঘোষ, মতলব উত্তর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র কর্মকার, শাহরাস্তি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিখিল চন্দ্র মজুমদার, কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ফনি ভূষন মজুমদার প্রমূখ।