বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘আমরা কি বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত?’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শ্রিংলা বলেন, ‘তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে এবং তারা মুসলিম ব্রাদারহুডেরও একটি অংশ। বাংলাদেশ, মিশর, পাকিস্তান এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যমান একই মুসলিম ব্রাদারহুড। এই চিতাবাঘ তার দাগ বদলায় না।’
তবে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে, ক্ষমতায় যারা আসবে তাদের সঙ্গেই আমরা কাজ করব। কিন্তু যদি কেউ আপনার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাহলে আপনাকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।’
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করা শ্রিংলা বলেন, ভারত বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিবেশীদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে ভারত সম্মান করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডাকসু) নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। শ্রিংলা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ‘সহায়ক’ হিসেবে সংগঠনটির ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি জামায়াতের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ আনেন।
৬৩ বছর বয়সী প্রাক্তন কূটনীতিক বাংলাদেশে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ভারতের সীমান্তে পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের (আইএসআইয) ‘তৎপরতা’ নিয়েও কথা বলেন।