সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার দাড়িয়েছে শতকরা ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে। ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ছিল শতকরা ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ টাকা যা ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৮ টাকা যা ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এই তথ্য প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব জানান। রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটা কাঙিক্ষত। কেননা আমাদের প্রবৃদ্ধি যে বাড়ছে সেটি কেউ দ্বিমত করতে পারবেন না। হয়তো কেউ বলবেন ৭ দশমিক ১, বা ৭ দশমিক ৩ হয়েছে। কিন্তু এটা বলবেন না যে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এটা ঠিক। কেননা গত ঈদে যেভাবে গ্রামে গঞ্জে শহরে বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় ছিল তা চোখে পড়ার মত। তবে সবার আয় এক রকম বাড়েনি। এটা হবেও না। অর্থনীতির এ পর্যায়ে বৈষম্য বাড়বেই। এটাই স্বাভাবিক। বৈষম্য ভালো। এক সময় গিয়ে এটা কমে আসবে। এখন দেখেন মানুষ খালে পায়ে থাকে না। প্রত্যেকের হাতে মোবাইল আছে, গায়ে জামা আছে। এগুলোই প্রমান করে মাথাপিছু আয় বাড়ছে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ পর্যন্ত এ হিসাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষি খাতের ২০২১-২২ অর্থবছরে সাময়িক হিসাবে শতকরা ২ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। এরমধ্যে শস্য উপখাতে শতকরা ১ দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ, পশুপালন উপখাতে শতকরা ৩ দশমিক ১০ ভাগ, বন উপখাতে শতকরা ৫ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশ এবং মৎস্য খাতে শতকরা ২ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
শিল্প খাত: ২০২১-২২ অর্থবছরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। এছাড়া এ বছর সাময়িক হিসাবে বিদ্যুৎ খাতে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং নির্মাণ খাতে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে শিল্প খাতে গত বছরের (২০২০-২১) তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
সেবা খাত: ২০২১-২২ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা খাতে ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, যানবাহন খাতে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, ব্যাংক ও বীমা খাতে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ ও স্বাস্থ্য খাতে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে সেবা খাতে গত বছরের (২০২০-২১) তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিনিয়োগ হয়েছে জিডিপির অনুপাতে ৩১ দশমিক ৬৮ শতাংশ, গত অর্থবছর ছিল ৩১ দশমিক ০২ শতাংশ।