জিয়াউর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরে কাবিখা ও কাবিটার সরকারী বরাদ্দের টাকায় সংস্কার করা রাস্তা নিজের বাবা আলহাজ্ব শামশুল হক বরকতের নামে নাম করণ করেছেন স্থানীয় ৪নং গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পাভেজ।এমন ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান।
জানা গেছে,২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম দিকে দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের ৪২৬,৯২১ টাকা বরাদ্দের বিপরীতে গালুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কানুদাশকাঠী এলাকার মরহুম আ. খালেক জোমাদ্দারের বাড়ি থেকে বুর্জুক হাওলাদারের জামে মসজিদের সামনা পর্যন্ত ৮০০ ফুট রাস্তা পূণঃ নির্মাণ ও রাস্তায় ইটের সলিং করণের কাজ শুরু হয়ে গত জুন মাসে শেষ হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,দীর্ঘ দিনের পুরানো এ রাস্তাটিকে স্থানীয় বসিন্দারা খালেক জোমাদ্দারের বাড়ির সামনের রাস্তা বলেই চেনে। রাস্তার প্রকল্পেওে একই নাম উল্লেখ করা আছে। অথচ চেয়ারম্যান রাস্তার কাজ শেষ করে কেউকে কিছু না বলে তার বাবা মরহুম শামশুল হক বরকতের নাম শ্বেত পাথরে খোদাই করা নেইম ফলকে নতুন ভাবে নামকরণ করলেন।
প্রকল্পের সভাপতি ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ঈসমাইল সরদার বলেন ,এই রাস্তাটি করার পেছনে চেয়ারম্যান সাহেবের বাবার একটা অবদান ছিল। সেই অবদানের কথা চিন্তা করেই চেয়ারম্যান সাহেব তার বাবার নামে রাস্তাটির নামকরণ করেছেন।
৪নং গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পারভেজ বলেন,রাস্তাটা আগেই আমার বাবার নামে ছিল।এবার নতুন প্রকল্পে রাস্তাটির সংস্কার করেছি। রাস্তাটি যদি আপনার বাবার নামেই থেকে থাকে তাহলে প্রকল্প কেন অন্যের নামে হলো এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পরেননি।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব যে কাজটি করেছেন সেটা এখতিয়ার বর্হিভূত কাজ। একটা রাস্তা সংস্কার করে সেখানে নতুন করে তার ইচ্ছেমত রাস্তার নামকরণ করবেন সেটা হতে পারে না। যে কোন কিছুই একটা আইনগত পদ্ধতির মধ্যে থেকে যেতে হয়। উনি সেটা না করে এ কাজটি করেছেন । বিষয়টি সম্পর্কে আমি আরও খোজঁখবর নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলব, তিনি যদি বিষয়টির স্বাভাবিক সমাধান করেন ভাল, অন্যথায় তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।