মোঃ মমিন হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
টাঙ্গাইলে অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার ছয়টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রায় ১১৪টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্দি পেয়ে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা সুই সুই করছে।
জানা গেছে, একদিকে যেমন বাড়িঘরে পানি উঠেছে, অন্যদিকে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ও ঝাওয়াইল ইউনিয়নে প্রায় ২০টি গ্রাম, ভূঞাপুর উপজেলায় গাবসারা ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম, কালিহাতী উপজেলায় গোহালিয়াবাড়ী দুগাপুর, শল্লা ও দশকিয়া ইউনিয়নে প্রায় ২৫ গ্রাম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় হুগড়া, কাকুয়া, কাতুলী, মগড়া ও মাহমুদনগর ইউনিয়নে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া নাগরপুর উপজেলা ভারড়া সলিমাবাদ ও দপ্তয়ীর ইউনিয়নে প্রায় সাতটি গ্রাম এবং বাসাইল উপজেলা কাশিল ফুলকী ও সদরে প্রায় ১২টি গ্রাম পানিবন্দী রয়েছে।
কাকুয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের শাহ আলম, কালিকেটিল গ্রামের রায়হান, নুরু ও মজিদ জানান, হু হু করে পানি বেড়ে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে পড়ছে। বাড়িঘরের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার আগেই ঘরে পানি ঢুকছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার জানান, বাড়িঘরে পানি উঠে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। সাধ্য অনুযায়ী যতটা পারছেন সাহায্য করছেন বলে জানান তারা।