বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি,
ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১:৩৮ হলেও প্রায় ৯৬ জন শিক্ষক শিক্ষাছুটিতে থাকায় প্রকৃতপক্ষে এই অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১:৫৫। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো বিভাগে শিক্ষক সংকট তীব্র হওয়ায় এই অনুপাত প্রায় ১:১০০-তে দাঁড়িয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রসায়ন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন,”শিক্ষক সংকটের কারনে আমরা একাডেমিক কার্যক্রমে অনেক পিছিয়ে আছি। তাছাড়াও নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ায় জটিলতা আরও বাড়ছে।”
পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, “ইউজিসির এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কেন এত অনীহা তা আমাদের জানা নেই। আমি শিক্ষক পদের জন্য তাদের সাথে অনেক বাকবিতণ্ডা করেছি। আমি তাদের জানিয়ে দিয়েছি যে, তারা যদি শিক্ষক পদ না দেয় তাহলে আগামীতে আমরাই সার্কুলার প্রদান করে দেবো।”
অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, সাধারণত সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষককে শিক্ষাছুটিতে রাখা য়ায়। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি ৪০-৫০ শতাংশ শিক্ষককে শিক্ষাছুটি দিয়ে তাদের বিপরীতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানায়; সেটি তো সম্ভব নয়। যেসব শিক্ষকরা শিক্ষাছুটিতে থাকেন তারা পূর্ণ বেতনেই ছুটিতে থাকেন। তাদের বিপরীতে নতুন কাউকে নিয়োগ দেয়া হলে একটি পদের জন্য দুজনের বেতন বহন করতে হবে। এসকল কারণে চাইলেই শিক্ষা ছুটির বিপরীতে নতুন শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: কামরুজ্জামান বলেন, “ইউজিসির সাথে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ইউজিসি শিক্ষাছুটিতে থাকা ২০% শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগে সম্মত হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত বিষয়গুরো সমাধান হবে।”