‘ছিনতাই বা ডাকাতি হওয়ার পর যদি কোনো থানায় ভুক্তভোগীর অভিযোগ বা মামলা নিতে গড়িমসি করে তাহলেই সরাসরি ডিএমপিতে অভিযোগ করুন। ওইসব থানার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিএমপি কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি’।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ‘ঢাকায় ডিজিটাল ডিভাইস বেশি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাস্তায় যারা ছিঁচকে চোর-ছিনতাইকারী আছে, তারা রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমরা দেখেছি তাদের অধিকাংশই মাদকসেবী’। তিনি বলেন, ‘রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই, মলম ও টানা পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। ডিবি পুলিশও বিশেষ করে ঢাকায় দস্যুতা, ছিনতাই-ডাকাতি চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। ডিএমপি কমিশনারের দিক-নির্দেশনায় রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান-মলম পার্টির দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে গোয়েন্দা রমনা ও লালবাগ বিভাগ বিশেষ অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাতি ও দস্যুতার প্রস্তুতিকালে ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ২৭ জনই পেশাদার ছিনতাইকারী, ডাকাত ও অপরাধী। আজ তাদের মধ্যে ২২ জনকে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ২৭ জনের বিরুদ্ধেই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে’। এর আগে, ৬ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল রাজধানীর হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ছিনতাইচক্রের ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা ও লালবাগ বিভাগ। অভিযানে তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, ছোরা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়।