বহু আলোচনা-সমালোচনার পর শেষ হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখনো চলছে গণনা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকাল ৪টায়। দিনভর সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ঢাকায় কমিশনের ভবনে বসে এই পর্যবেক্ষণে ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এ দিন বিকালে সংবাদ সম্মেলনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর প্রায় দুই ঘণ্টা পর সাড়ে ১০টার দিকে সিসি ক্যামেরার কক্ষে প্রবেশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই কক্ষে খুব বেশি সময় অবস্থান করেননি তিনি। তা ছাড়া ভোটগ্রহণ শেষে কমিশনের সংবাদ সম্মেলনেও অনুপস্থিত ছিলেন। ইসি মো. আলমগীরের করা ব্রিফিংয়ের বাকি তিন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পর্যবেক্ষণের মাঝখানে দুপুর ১২টায় সিইসির সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে কমিশনের ১৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালের নাশতা, কমিশন সভা এবং দুপুরের খাবার ছাড়া সব সময়ই সিসি ক্যামেরার কক্ষে ছিলেন কমিশনাররা। দিনভর কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো ধরনের চাপ লক্ষণীয় ছিল না।
তবে সিসি ক্যামেরার কক্ষে নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকদের সার্বক্ষণিক থাকতে দেয়া হয়নি। সারা দিনে তিনবার ওই কক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হয় সাংবাদিকদের। ভোটগ্রহণ শুরুর পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার কক্ষে প্রায় ১০ মিনিট করে অবস্থান করেন সাংবাদিকরা। ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল ১০টায় একবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
কমিশন সূত্রমতে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। ঢাকায় কমিশনের ভবন থেকে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একসঙ্গে ৪৬৬টি ক্যামেরার মাধ্যমে ৪৬৬টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিটি ডিসপ্লে ১০ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেট করে ৪ হাজার ৪৩৫টি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এ ছাড়া অস্থায়ী ৪৯১ ভোটকক্ষে একটি ও প্রতি কেন্দ্রে দুটি করে সিসি ক্যামেরা ছিল।