ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল যমুনা নদীর পানির স্তর। বুধবার (১২ জুলাই) নদীর পানির স্তর বেড়ে হয়েছে ২০৭.৫৫ মিটার, যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময়কার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ওই সময় যমুনার পানির স্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই পানির স্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোয় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ।
যমুনার পানির স্তর বাড়তে থাকায় নিচু এলাকাগুলো ছাপিয়ে শহরের ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে শঙ্কার প্রহর গুনছে দিল্লিবাসী। পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত থাকায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
গত রবিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় যমুনার পানির স্তর ছিল ২০৩.১৪ মিটার। সোমবার বিকেল ৫টায় সেই পানির স্তর বেড়ে হয় ২০৫.৪ মিটার। আর তার ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই পানির স্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে।
নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে দিল্লির বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য আনা হয়েছে বেশ কিছু বড় বড় গাড়ি।
দিল্লির পানিমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। আমার গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আতিশি মারলেনা নামের অপর এক মন্ত্রী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি সরকার প্রস্তুত। যমুনার পানির স্তর কতটুকু বাড়ছে, প্রতি মুহূর্তে তা নজর রাখা হচ্ছে। পানি যাতে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করতে না পারে, তার জন্য জায়গায় জায়গায় অস্থায়ী বাঁধ বানানো হচ্ছে।