ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

দুর্নীতির আখড়া সাভার বিআরটিএ

সাংবাদিক

শামীম আশরাফ ও কাজী আশিকুর রহমান।।

দুর্নীতির আখড়া তে পরিণত হয়েছে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশন না দেয়ার বিধান থাকলেও উৎকোচের বিনিময়ে লার্নার (শিক্ষানবিশ) কার্ডধারীদের নিয়মিতই রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে সাভারের বিআরটিএ এর অফিস থেকে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার বিনিময়েও নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা।

সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ,
দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এই কার্যালয়টি। ওই অফিসের কর্মকর্তার যোগসাজশে গড়ে ওঠেছে দালালদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বাংলা ৫২ নিউজ ডট কম কে অভিযোগ করে বলেন , গাড়ির ফিটনেস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে এলে ভোগান্তির শেষ নেই। দালাল না ধরলে কোনো কাজই হয় না।

লাইসেন্স প্রতি দুই গুণ, তিন গুণ টাকা বেশি দিতে হয়। সরেজমিনে সাভার বিআরটিএ অফিসে কয়েকদিন ঘুরে দেখা গেছে,রানা, এনায়েত, ফারুক, শিপলু, শাহাদাৎ, স্বপন, সুরুজ, মানিক সহ প্রায় এক ডজনেরও বেশি দালাল রয়েছে।

কার্ডধারীদের নিয়মিতই রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে সাভারের বিআরটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার বিনিময়েও নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা।

বাস্তবে এসব দালালরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সাভার কার্যালয়।দালালদের কাছে অসহায় ভুক্তভোগীরা।

বিআরটিএ কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হয়। পেশাদার লাইসেন্স-এর জন্য সরকার নির্ধারিত ফি হচ্ছে ১৬৮০ টাকা আর অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২৫৪২ টাকা। একজন পেশাদার ও অপেশাদার চালককে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র মোট ৫টি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।

এর আগে চালককে তিন মাসের জন্য একটি শিক্ষানবীশ লাইসেন্স (লার্নার) প্রদান করা হয়। যার দ্বারা পরীক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা লাভের পর পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষাগুলো হলো, লিখিত, মৌখিক, জিগজ্যাগ, র্যাম ও সর্বশেষ রোড টেস্ট। এসব পরীক্ষায় সাফল্যর সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আরও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর একজন চালককে দেয়া হয় মোটরযান চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স।সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একজন চালকের হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সময় লাগে ৩ মাস।

কিন্তু দালাল না ধরলে লাইসেন্স পেতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ মাস। এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহককে কম সময়ে লাইসেন্স দেয়ার কথা বলে দালালরা হাতিয়ে নিচ্ছেল লাখ লাখ টাকা। এর সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে। আর টাকার ভাগ পেতেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকছেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।

 

বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হায়েসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এমনকি কোন কোন দিন শতাধিক গাড়ীরও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। নানান সমস্যার কথা বলে দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে দালালরা ফাইলে নির্ধারিত সাংকেতিক চিহৃ দিয়ে দেন।বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হায়েসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এমনকি কোন কোন দিন শতাধিক গাড়ীরও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। নানান সমস্যার কথা বলে দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে দালালরা ফাইলে নির্ধারিত সাংকেতিক চিহৃ দিয়ে দেন।সাভার বিআরটিএ অফিস থেকে দালালদের দৌরাত্ম ও ঘুষ, বাণিজ্য বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হায়েসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এমনকি কোন কোন দিন শতাধিক গাড়ীরও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। নানান সমস্যার কথা বলে দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে দালালরা ফাইলে নির্ধারিত সাংকেতিক চিহৃ দিয়ে দেন।বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হায়েসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এমনকি কোন কোন দিন শতাধিক গাড়ীরও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। নানান সমস্যার কথা বলে দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে দালালরা ফাইলে নির্ধারিত সাংকেতিক চিহৃ দিয়ে দেন।সাভার বিআরটিএ অফিস থেকে দালালদের দৌরাত্ম ও ঘুষ, বাণিজ্য বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

( দ্বিতীয় পর্বে থাকছে গাজীপুর বিআরটিএ অফিসের দুর্নীতির প্রতিবেদন)

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:২২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৬৯৯ Time View

দুর্নীতির আখড়া সাভার বিআরটিএ

আপডেটের সময় : ০৪:২২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

শামীম আশরাফ ও কাজী আশিকুর রহমান।।

দুর্নীতির আখড়া তে পরিণত হয়েছে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশন না দেয়ার বিধান থাকলেও উৎকোচের বিনিময়ে লার্নার (শিক্ষানবিশ) কার্ডধারীদের নিয়মিতই রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে সাভারের বিআরটিএ এর অফিস থেকে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার বিনিময়েও নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা।

সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ,
দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে এই কার্যালয়টি। ওই অফিসের কর্মকর্তার যোগসাজশে গড়ে ওঠেছে দালালদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বাংলা ৫২ নিউজ ডট কম কে অভিযোগ করে বলেন , গাড়ির ফিটনেস এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে এলে ভোগান্তির শেষ নেই। দালাল না ধরলে কোনো কাজই হয় না।

লাইসেন্স প্রতি দুই গুণ, তিন গুণ টাকা বেশি দিতে হয়। সরেজমিনে সাভার বিআরটিএ অফিসে কয়েকদিন ঘুরে দেখা গেছে,রানা, এনায়েত, ফারুক, শিপলু, শাহাদাৎ, স্বপন, সুরুজ, মানিক সহ প্রায় এক ডজনেরও বেশি দালাল রয়েছে।

কার্ডধারীদের নিয়মিতই রেজিস্ট্রেশন দেয়া হচ্ছে সাভারের বিআরটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার বিনিময়েও নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা।

বাস্তবে এসব দালালরাই নিয়ন্ত্রণ করছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সাভার কার্যালয়।দালালদের কাছে অসহায় ভুক্তভোগীরা।

বিআরটিএ কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হয়। পেশাদার লাইসেন্স-এর জন্য সরকার নির্ধারিত ফি হচ্ছে ১৬৮০ টাকা আর অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২৫৪২ টাকা। একজন পেশাদার ও অপেশাদার চালককে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র মোট ৫টি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।

এর আগে চালককে তিন মাসের জন্য একটি শিক্ষানবীশ লাইসেন্স (লার্নার) প্রদান করা হয়। যার দ্বারা পরীক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা লাভের পর পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষাগুলো হলো, লিখিত, মৌখিক, জিগজ্যাগ, র্যাম ও সর্বশেষ রোড টেস্ট। এসব পরীক্ষায় সাফল্যর সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আরও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর একজন চালককে দেয়া হয় মোটরযান চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স।সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একজন চালকের হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সময় লাগে ৩ মাস।

কিন্তু দালাল না ধরলে লাইসেন্স পেতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ মাস। এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহককে কম সময়ে লাইসেন্স দেয়ার কথা বলে দালালরা হাতিয়ে নিচ্ছেল লাখ লাখ টাকা। এর সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে। আর টাকার ভাগ পেতেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকছেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।

 

বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হায়েসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এমনকি কোন কোন দিন শতাধিক গাড়ীরও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। নানান সমস্যার কথা বলে দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে দালালরা ফাইলে নির্ধারিত সাংকেতিক চিহৃ দিয়ে দেন।বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হায়েসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এমনকি কোন কোন দিন শতাধিক গাড়ীরও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। নানান সমস্যার কথা বলে দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে দালালরা ফাইলে নির্ধারিত সাংকেতিক চিহৃ দিয়ে দেন।সাভার বিআরটিএ অফিস থেকে দালালদের দৌরাত্ম ও ঘুষ, বাণিজ্য বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হায়েসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এমনকি কোন কোন দিন শতাধিক গাড়ীরও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। নানান সমস্যার কথা বলে দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে দালালরা ফাইলে নির্ধারিত সাংকেতিক চিহৃ দিয়ে দেন।বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, হায়েসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি এমনকি কোন কোন দিন শতাধিক গাড়ীরও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া হয়। নানান সমস্যার কথা বলে দেড় থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে দালালরা ফাইলে নির্ধারিত সাংকেতিক চিহৃ দিয়ে দেন।সাভার বিআরটিএ অফিস থেকে দালালদের দৌরাত্ম ও ঘুষ, বাণিজ্য বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

( দ্বিতীয় পর্বে থাকছে গাজীপুর বিআরটিএ অফিসের দুর্নীতির প্রতিবেদন)