শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে আপিলের শর্তে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আসামিদের জামিন দেন আদালত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ড. ইউনূসসহ একই মামলায় দণ্ডিত চারজনকে সাজার রায় ঘোষণার পর তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে রায় ঘোষণা শুরু করা হয়। রায় শোনার জন্য ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. ইউনূস বলেন, যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম। এটাকে ন্যায়বিচার যদি বলতে চান, তাহলে বলতে পারেন।
এদিন দুপুর ২টা ১৫ মিনিট থেকে রায় ঘোষণা শুরু করা হয়। রায় শোনার জন্য ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খবর সংগ্রহের জন্য ভিড় জমান দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।