ধর্ষণ মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবদুস সালাম খান জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহম্মেদ বলেন, সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বতীকালীন জামিন নিয়েছিলেন শহীদুর রহমান খান। সোমবার ছিল সেই জামিনের শেষ দিন।
সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন । এর আগে রোববার ( ৭ মে) এ মামলার অপর আসামি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৩ মার্চ খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি গ্রহণ করতে সোনাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দেন।
ওই নারী মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছিলেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে শহীদুর রহমান বিয়ের কথা বলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আর তার ওই কাজে সহযোগিতা করেন রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারী আদালতের আশ্রয় নেন।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগকারী ওই নারী প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোরকিপার হিসেবে চাকরি করতেন। পরে তাকে উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হয়। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহে নিজের বাড়িতে থাকেন।