রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) থাকা নাহিদ হাসান (১৮) নামে এক যুবক মারা গেছেন। তিনি এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তৌফিক এলাহী।
নিহত নাহিদের স্ত্রী ডালিয়া আক্তার জানান, সকালে কামরাঙ্গীরচর দেওয়ান বাড়ির এলাকার বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে যান নাহিদ। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাহিদ হাসানের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পান তার স্ত্রী। তার বাবার নাম নাদিম হাসান।
শুভ নামে একজন সোমবার দুপুরের দিকে আহত অবস্থায় নাহিদকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি সেই সময় জানিয়েছিলেন, নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত অবস্থায় নাহিদ রাস্তায় পড়েছিলেন।
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের আইসিইউতে মোরসালিন (২৬) নামে আরও একজন দোকানকর্মী মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। তিনিও কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা।
আহত মোরসালিনের ভাই নূর মোহাম্মদ জানান, নিউমার্কেটে অবস্থিত নিউ সুপার মার্কেটে একটি দোকানে মোরসালিন কাজ করতেন।
এছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রসহ আহত আরও দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা হলেন—ইয়াসিন (২০) এবং ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কানন চৌধুরী (২৩)।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক আহতদের জন্য দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এবং মুমূর্ষু রোগীকে আইসিইউর ব্যবস্থা করে দেন।
শুক্রবার মধ্যরাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ বাঁধে। শনিবার দিনভরও নিউমার্কেট এলাকায় দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।