নীলফামারীর চিলাহাটিতে আলু ক্ষেতে নিবিড় পরিচর্যা- আশার আলো দেখছেন কৃষক
উত্তরের কৃষিপ্রধান জেলা নীলফামারীর চিলাহাটি অঞ্চলে বর্তমানে আলু ক্ষেতের নিবিড় পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। রোপণের পর আলু গাছগুলো এখন দ্রুত গতিতে বেড়ে উঠছে, যা চাষিদের মনে আশার সঞ্চার করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চিলাহাটির বিস্তীর্ণ জমিতে এখন সবুজ আলুগাছের চারাগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে। কৃষকরা ক্ষেতের আগাছা দমন, মাটি আলগা করা (নিড়ানি), এবং রোগ-বালাই প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিরলস কাজ করে চলেছেন। আলু গাছের পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক পরিচর্যার এই কর্মযজ্ঞে পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা একযোগে অংশ নিচ্ছেন।
সাধারণত, আগাম জাতের আলু রোপণের ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই ফসল তোলার উপযোগী হয়ে ওঠে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকদের সঠিক পরিচর্যার ফলে আলু গাছগুলোর বৃদ্ধি খুবই সন্তোষজনক। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চারা অবস্থায় গাছের সঠিক পরিচর্যা ভালো ফলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জমিতে পর্যাপ্ত সার ও সেচ নিশ্চিত করা এবং সময়মতো আগাছা পরিষ্কারের মাধ্যমেই একটি
প্রত্যাশিত ফলন পাওয়া সম্ভব।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক কৃষক জানান, “দেড় বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি। প্রায় 60000 মতো খরচ হয়েছে। যদি ভালো বাজার পাই, তবেই লাভবান হব, নইলে তো আমাদের ক্ষতি হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সময়মতো আলু বীজ রোপণ করেছি। গাছগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে এবং সতেজ দেখাচ্ছে। এখন নিড়ানি ও সার-সেচের কাজ চলছে। আশা করছি, যদি আবহাওয়া এভাবে চলতে থাকে, তবে এবার আমরা আলুর বাম্পার ফলন পাব এবং ভালো দাম পাব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর নীলফামারী জেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হচ্ছে।
























