পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মন্তব্য করেছেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বাতিলের জন্য বিশ্বব্যাংকের অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা ও দুঃখ প্রকাশ করা উচিত।
সূত্র জানায়, সেতু বিভগের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে ই-মেইলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমন্ত্রণ কার্ডের হার্ড কপি পাঠানো হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের মতো বড় প্রতিষ্ঠান সব সময় ভালো কাজ করে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে যারা হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একই সাথে সেই ক্ষতি স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিশ্বে বড় ঋণদানকারী এই সংস্থা যে বড় একটি অন্যায় করেছে, তা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় পদ্মা সেতু। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য টোলের হার নির্ধারণ করেছে সরকার।
গত ১৭ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোলের হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বড় বাসে ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং মাঝারি ট্রাকে লাগবে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।