মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, আজ (বুধবার) জরুরি ভিত্তিতে তিনি (পিটার হাস) সাক্ষাৎ করেন। তিনি বললেন, এক বাসায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে অনেক লোক ছিল। তার নিরাপত্তাকর্মীরা তখন তাকে জানান তিনি যেন তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যান। কারণ, তারা (শাহীনবাগে সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসার সামনে যারা হট্টগোল করে) তার গাড়ি ব্লক করে দেবে। নিরাপত্তা অনিশ্চয়তার কারণে তিনি তাড়াতাড়ি চলে গেছেন এবং এ ঘটনায় তিনি খুবই অসন্তুষ্ট হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আজকের এই ঘটনার পর তিনি খুবই হতাশ হয়েছেন। আমরা তাকে বলেছিলাম যে আপনার এবং আপনার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব…কিন্তু ওই বাসভবনে তার সফরের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য ছিল না।
মন্ত্রী আরো জানান, আমি বললাম যে আপনাদের নিরাপত্তা দেব। আপনি যদি অধিকতর নিরাপত্তা চান সেটি আমরা দেব। তবে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি সেখানে যাবেন সেটি কে প্রচার করল। কারণ, আমরা তো এ বিষয়টি জানি না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুই জানে না এবং আপনি আমাদের জানাননি। তথ্যটি লিক করল কে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে পারেননি। তিনি একটু দুশ্চিন্তায় আছেন। বলেছি, আমি মিডিয়াকে আটকাতে পারব না। আমাদের দেশের মিডিয়া খুব সোচ্চার। আমি তাদের কোথাও বাধা দিতে পারব না। ওখানে লোকজন গেছে, সেটিতেও বাধা দিতে পারব না। আমি যেটা পারবো সেটি হচ্ছে, আপনার নিরাপত্তার জন্য তাদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারব।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার সকালে নগরীর শাহীনবাগে গুমের শিকার স্বজনদের সংগঠন মায়ার ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের বাসায় যান।
সানজিদা বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন, যিনি ২০১৩ সালে বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের কর্মীরা বৈঠকটি শেষ করেছেন। আমরা বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করছি।