দেশের বেশিরভাগ জেলাতে চলছে হালকা থেকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। পাবনা এর ব্যতিক্রম নয়।তাইতো তীব্র শীতে গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় করছে ক্রেতারা।
পাবনায় কাশিনাথপুরে দেখা মেলে এমন চিত্র। কাশিনাথপুর স্কুল রোড,ফুলবাগান বাজার, হাসিনা প্লাজা সহ সকল দোকানে দেখা মেলে ক্রেতাদের ভীড়।
তীব্র শীতে ফুটপাতেও দেখা মেলে ক্রেতাদের ভীড়। কাশিনাথপুর বরাট গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান -অসহনীয় ঠান্ডায় বিপযস্ত জনজীবন এখন শীত থেকে বাজতে গরম কাপড় কিনতে এসেছি। অন্য বছরের তুলনায় এ বছরে শীত বেশি। তাইতো শীত থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
এদিকে একই এলাকার বাসিন্দা নিম্ন আয়ের বর্গের সাদ্দাম জানান শীত থেকে বাঁচতে অল্প দামে ফুটপাতের গরম কাপড় কিনতে এসেছি কোনমতে শীত পাড় করতে হবে।
দিনমজুর জানুও নির্মাণ শ্রমিক রিপন মিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। কাজে গেলে ৪ থেকে ৫শ টাকা পাই। তা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলে। এখন যে শীত পরছে, একটা জ্যাকেট না হলে কাজে যেতে পারব না। তাই ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে গরম কাপড় কিনতে দোকানির সঙ্গে দামদর করছি।
কাশিনাথপুর মাই চয়েস টেইলাস এর স্বত্বাধিকারী জয়নুল জানান শীত বাড়ায় এখন গরম কাপড় বিক্রি বেশি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও যখন কেনাবেকা কম ছিলো কিন্তু এখন অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে তীব্র শীতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।নগরবাড়ি ঘাটের এক শ্রমিক জানান গত দু-তিন যাবৎ তীব্র শীতে কাজ করতে পারছিনা। কাজ না করায় সন্তান নিয়ে না খেয়ে জীবন কাটছে।
মৎস্যজীবী জলিল বলেন, প্রতিদিন সকালে পানিতে নেমে জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। এ প্রচন্ড শীত থেকে বাঁচতে গরম কাপড় কিনতে ও বাড়ির জিনিসপত্র কিনতে বাজারে আসেছি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (০৪ জানুয়ারি) পাবনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।