সবশেষ ৬ ম্যাচে তৃতীয় বারের মত হারের তিক্ত স্বাদ পেল পিএসজি। ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ম্যাচের ১৫ মিনিটে গোল হজম। এর পাঁচ মিনিট পর আশরাফ হাকিমি লাল কার্ড দেখায় ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। তাতেই যেন খেই হারিয়ে ফেললো প্যারিসের ক্লাবটি।
রোববার রাতে ফ্রেঞ্চ লিগে লঁরিয়ের বিপক্ষে ৩-১ এ হেরেছে পিএসজি। চলতি বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে ৯ ম্যাচে হারল ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
এদিকে, হারের পর মেসি-এমবাপ্পেরা যখন মাঠ ছাড়ছিলেন পিএসজির সমর্থকেরা চুপ ছিলেন না। তারা দুয়ো দিয়েছেন নিজ দলের খেলোয়াড়দের।
এদিন ম্যাচের ১১ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় পিএসজি। ডি বক্সে নিখুঁত পাসে এমবাপ্পেকে খুঁজে নেন মেসি। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন এমবাপ্পে। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে সে যাত্রায় দলকে রক্ষা করেন। এর চার মিনিট পরই প্রথম গোল হজম করে পিএসজি। রোমাঁ ফেভার চমৎকার ক্রসে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত এনজো লু ফি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লরিয়ঁ।
৫ মিনিট পরই ডারলিন ইয়োঙ্গাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পিএসজির রাইটব্যাক হাকিমি। হাকিমির মাঠ ছাড়ার নয় মিনিট পর গোল শোধ দেন এমবাপ্পে। তাতে অবশ্য দায় আছে লঁরিয়ে গোলকিপারের। হাতে ধরা বল নিচে রাখেন লঁরিয়ে গোলকিপার। কাছেই থাকা এমবাপ্পে বল জালে জড়ান। ৩৯ মিনিটে ইয়োঙ্গার গোলে আবারও এগিয়ে যায় লঁরিয়ে।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বাড়ায় মেসি-এমবাপ্পেরা। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে পারেননি বামো মেইতি। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ফাবিয়ান রুইস। বুলেট গতির শট থাকেনি লক্ষ্যে। তিন মিনিট পর মেসির আরেকটি ফ্রি কিকে রামোসের হেড বেরিয়ে যায় ক্রসবার ঘেঁষে।
৬৭তম মিনিটে এমবাপ্পের ক্রসে দানিলো পেরেইরার চেষ্টা ব্যর্থ হয় লরিয়ঁ গোলরক্ষকের মুখে লেগে। পরের মিনিটে লু ফির বাঁকানো শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। একটুর জন্য আরও বাড়েনি ব্যবধান।
তবে পিএসজির সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ৮৮ মিনিটে কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন দাইয়েং। তার প্রথম প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন দোন্নারুম্মা। কিন্তু দ্বিতীয় চেষ্টায় ঠিকই জাল খুঁজে নেন ডাইয়েং। এতেই ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ৩-১ গোলে হারের তিক্ত স্বাদ পেল প্যারিসের ক্লাবটি।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সব প্রতিযোগিতা মিলে ৯টি ম্যাচ হারা পিএসজি ৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অলিম্পিক লিওঁ। লরিয়াঁ সমান ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের দশ নম্বরে।