চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর ওপর অতর্কিত হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর ও নগদ ১ লাখ টাকাসহ আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন (৩৯) গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারীরা আমজাদের মোটরসাইকেলসহ ঘরবাড়ি ভাংচুর করে ঘরে থাকা ব্যবসায়িক ১ লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ও ঘরের দামি আসবাবপত্র নষ্ট করে বলে অভিযোগ করেন গৃহকর্মী পলি বেগম। সন্ত্রাসীরা প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকায় ক্ষয়ক্ষতি করে দাবি করেছেন তার পরিবারের লোকজন।
হামলাকারীরা হলেন যথাক্রমে; মুসলিম তপদার (৫০) পিতা-মৃত হাবু তপদার, হোসেন তপদার (২৩), সাদ্দাম তপদার (২৮) উভয় পিতা, ইদ্রিস ওরফে মিন্টু তপদার, মিরন তপদার (৫০), পিতা-মৃত হাবু তপদার, এ ঘটনাটি ঘটে ফরিদগঞ্জের ১নং বালিথুবা (পশ্চিম) ইউনিয়নের ৬নং ওয়াডস্থ মদনগাও তরফদার বাড়িতে। বৃহস্পতিবার ৭এপ্রিল’২২ খ্রিঃ তারিখ (৪ রমজান)’র ইফতারের পর পরই ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে জানান, আহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী পলি বেগম। ঘটনার বিবরণে আহত আমজাদ হোসেনের স্ত্রীর কাছ থেকে জানা যায়, একই বাড়ির সন্ত্রাসী মুসলিম ও তার ভাতিজা সাদ্দাম ও গ্রাম পুলিশ হোসেন তপদার দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে ওই বাড়ির লোকজনসহ স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। ৭এপ্রিল’২২ খ্রিঃ সকালে বাড়ির পুকুরে রাখা আমাদের বাঁশ জোরপূর্বক সন্ত্রাসী মুসলিম তার লোকজন নিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিলে ওই মুসলিম আমার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ করার এক পর্যায়ে প্রাণণশের হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে।
পরবর্তীতে দিন শেষে ইফতারের পর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আগ থেকে ওত পেতে থাকে মুসলিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন। চারদিকে আজান ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইফতার করে মসজিদের দিকে রওয়ানা হবে সবাই। আমার স্বামিও প্রতিদিনের ন্যায় মোটরসাইকেল নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রওয়ানা দিলে ওই সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে এলোপাথাড়ি হকিষ্টিক দিয়ে আঘাত করে। আমার স্বামী জীবন বাঁচাতে চিৎকার দিয়ে বাড়ির দিকে দৌড় দিলে সন্ত্রাসীরাও তার পিছনে দৌড়ে এক ঘরে ঢুকলে সন্ত্রাসীরা তার ঘরে ঢুকে আমি ও আমার শিশু সন্তানকেও মারধর করে।
এসময় তারা আমাদের ঘরের দামি আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ লুটপাট চালিয়ে ঘর থেকে ব্যবসায়িক নগদ এক লাখ টাকাও আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। আহত আমজাদ এর স্ত্রী আরো বলেন, ওই সন্ত্রাসী মুসলিম এর স্ত্রী প্রাক্তন ইউপি সদস্য। ওই মহিলার ছত্রছায়ায় এমন ক্ষতি হয়। এক ছেলে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশে চাকরি করে ওই ছেলেও হকিষ্টিক নিয়ে আমার স্বামী ও ঘরবাড়ি ভাংচুর এবং লুটপাটে জড়িত। আমি এর বিচার চাই। আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি একদিন আমার স্বামী হাসপাতালে অন্যদিকে শিশু দুটি সন্তান নিয়ে আমি বাড়িতে একা।
এব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা আমজাদ ও তার পরিবারের ওপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তা বলেন বসতঘর ভাংচুর হয়েছে কিছু টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়ার শুনেছি তবে কত টাকা বা কত ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে তা সঠিকভাবে বলতে পারবে এমরানের পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ড মেম্বার মিজানুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমজাদ ও তার পরিবারের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় এবং বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমাদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করি।
এব্যপারে অভিযুক্ত প্রাক্তন মহিলা ইউপি জাকিয়া বেগমের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে না পেরে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার নির্বাচনে আমজাদ আমার ক্ষতি করছে, আমি তাকে কিচ্ছু বলিনি। আমি যে একজন ইউপি সদস্য তা কখনো আমাকে দাম দেয়নি। হামলা ঘটনা সত্যি তবে লুটপাট হয়নি সব মিত্ররা কথা। আপনার ছেলে হোসেন (গ্রামপুলিশ) তিনি কেনো ওই হামালায় অংশগ্রহণ করলো? জবাবে তিনি বলেন ঘটনার সময় আমার ছেলে বাড়িতে ছিলো না তা মিত্ররা বলছে। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত আমজাদ এর পরিবারের লোকজন জানান। ফরিদগঞ্জে ব্যবসায়ীর ওপর অতর্কিত হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর ।। নগদ ১ লাখ টাকাসহ আড়াই ভরি স্বর্ণ লুট মনির হোসেন।। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর ওপর অতর্কিত হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর ও নগদ ১ লাখ টাকাসহ আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন (৩৯) গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারীরা আমজাদের মোটরসাইকেলসহ ঘরবাড়ি ভাংচুর করে ঘরে থাকা ব্যবসায়িক ১ লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে ও ঘরের দামি আসবাবপত্র নষ্ট করে বলে অভিযোগ করেন গৃহকর্মী পলি বেগম।
সন্ত্রাসীরা প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকায় ক্ষয়ক্ষতি করে দাবি করেছেন তার পরিবারের লোকজন। হামলাকারীরা হলেন যথাক্রমে; মুসলিম তপদার (৫০) পিতা-মৃত হাবু তপদার, হোসেন তপদার (২৩), সাদ্দাম তপদার (২৮) উভয় পিতা, ইদ্রিস ওরফে মিন্টু তপদার, মিরন তপদার (৫০), পিতা-মৃত হাবু তপদার, এ ঘটনাটি ঘটে ফরিদগঞ্জের ১নং বালিথুবা (পশ্চিম) ইউনিয়নের ৬নং ওয়াডস্থ মদনগাও তরফদার বাড়িতে। বৃহস্পতিবার ৭এপ্রিল’২২ খ্রিঃ তারিখ (৪ রমজান)’র ইফতারের পর পরই ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে জানান, আহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী পলি বেগম। ঘটনার বিবরণে আহত আমজাদ হোসেনের স্ত্রীর কাছ থেকে জানা যায়, একই বাড়ির সন্ত্রাসী মুসলিম ও তার ভাতিজা সাদ্দাম ও গ্রাম পুলিশ হোসেন তপদার দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।