আজ সোমবার,২০ জুন,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩২০তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক আবু সালেক খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেবউননেসা ও রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণে কালজয়ী দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, পদ্মা সেতু অবশ্যই বাংলাদেশের অহংকার এর প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নদীর উপর সেতু নির্মাণের সঙ্গে প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার যে সম্পর্ক রয়েছে ভবিষ্যতে সেটিও অনুভব করতে হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে ভবিষ্যতে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে বলে জনাব দুলাল অভিমত ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক জেবউননেসা, পদ্মাসেতুর সফল বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
গবেষক আবু সালেক খান,ছয়দফা কে অনেকেই ম্যাগনাকার্টা চুক্তির সঙ্গে তুলনা করেন যা দুঃখজনক। জনাব সালেক খান বলেন,ম্যাগনাকার্টা ছিল সমাজের এলিটদের সঙ্গে সামন্ত এলিটদের চুক্তি। আর বাংলা ছয়দফা ছিল স্বৈরাচারের সঙ্গে নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষদের মুক্তির দাবি।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটি আত্মিক সম্পর্ক ছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা এনিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে এবং বাংলার জনগণ ও সেনাসদস্যদের কে বিভ্রান্ত করেছে।
ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, অপরাজনীতির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে।
ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, মানবিক বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরেন।
সভায় বক্তারা, সার্বিক উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। একটি দেশের সরকার এবং জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় টেকসই উন্নয়ন সম্ভবপর বলে বক্তারা মনে করেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত ইরফান ও মাসুম আব্দুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আইডিয়াল কিডস কেয়ার স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল বায়েজিদা ফারজানা, সিরাজগঞ্জ থেকে হাসিনুল ইসলাম এবং রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার।