ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আত্মহত্যা প্রতিরোধে ব্যতিক্রম সাইকেল র‍্যালি ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বিতর্কিত খসড়া সংশোধন না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা রাতের আঁধারে জিরানী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল একের পর এক দোকান জনপ্রশাসন সচিব হলেন এহছানুল মরহুম তোফাজ্জল হোসেন স্মৃতি মিনি বার ফুটবল টুর্নামেন্ট–২০২৫, দ্বিতীয় দিনের খেলায় দি রয়েল ক্লাবের দাপুটে জয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শিশু হুযাইফা (৯) মরদেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল ‘মুক্তমঞ্চ’-এর কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত জামালপুরের শিহাব সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের পক্ষ থেকে এসপিএলের উদ্যোক্তা মিঠুকে সংবর্ধনা

বন্দরে ব্যবসায়ীর ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাত

বন্দর প্রতিনিধি

বন্দরে গরদা (পুরাতন/ ভাঙ্গা লোহা) দেওয়ার কথা বলে প্রতারনার মাধ্যমে লৌহ ব্যবসায়ী কাছ থেকে প্রায় পৌনে ৪৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী জজ মিয়া বাদী হয়ে প্রতারক আলামিন ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম ওরফে টুম্পা ও আছমা বেগমকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার জলিল মন্ডল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এর আগে গত ৩ মার্চ বিকেলে বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের মাহামুদনগর এলাকা থেকে ওই টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ১০৫ কে এন সেন রোড এলাকার মৃত নাজির মিয়ার ছেলে জজ মিয়া তার নিজ এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে সুনামের সাথে লৌহজাত ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। একই এলাকায় বসবাস করার সুবাদে উল্লেখিত এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আলামিনের সাথে পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা উভয় মিলে লৌহজাত ব্যবসা করে। এর ধারাবাহিকতা গত ৭ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পের মাধ্যমে উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে ব্যবসায়ী জজ মিয়ার কাছ থেকে ৪৪ লাখ টাকা ১ বছরের মধ্যে ফেরৎ দিবে শর্তে উল্লেখিত টাকা ধার নেয় প্রতারক আলামিন। ব্যবসায়ী জজ মিয়ার কাছ থেকে উল্লেখিত টাকা ধার নেওয়ার সময় প্রতারক আলামিন জামানত হিসেবে মেঘনা ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর চেক প্রদান করে। যার নং- এস ভি এ ২৯৫০২৯৯ এবং একাউন্ট নং- ১১২১১২৮০০০০০০৫১। উল্লেখিত টাকা ধার নেওয়ার সময় প্রতারক আলামিন ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম ওরফে টুম্পা জামিনদার হিসেবে উল্লেখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ব্যবসায়ী জজ মিয়া দেনাদার আলামিনের নিকট পাওনা টাকা চাইলে প্রতারক আলামিন টাকা না দিয়ে
নানা ভাবে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে।একপর্যায়ে পাওনাদার ব্যবসায়ী জজ মিয়া দেনাদার আলামিনের দেওয়া চেক নিয়া ব্যাংকে যেয়ে দেখে ব্যাংকে কোন টাকা নেই। তার পর থেকে দেনাদার প্রতারক আলামিন উল্লেখিত টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপনে চলে যায়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১২:০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
৫৬৭ Time View

বন্দরে ব্যবসায়ীর ৪৪ লাখ টাকা আত্মসাত

আপডেটের সময় : ১২:০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

বন্দরে গরদা (পুরাতন/ ভাঙ্গা লোহা) দেওয়ার কথা বলে প্রতারনার মাধ্যমে লৌহ ব্যবসায়ী কাছ থেকে প্রায় পৌনে ৪৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী জজ মিয়া বাদী হয়ে প্রতারক আলামিন ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম ওরফে টুম্পা ও আছমা বেগমকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার জলিল মন্ডল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এর আগে গত ৩ মার্চ বিকেলে বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের মাহামুদনগর এলাকা থেকে ওই টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ১০৫ কে এন সেন রোড এলাকার মৃত নাজির মিয়ার ছেলে জজ মিয়া তার নিজ এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে সুনামের সাথে লৌহজাত ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। একই এলাকায় বসবাস করার সুবাদে উল্লেখিত এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আলামিনের সাথে পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা উভয় মিলে লৌহজাত ব্যবসা করে। এর ধারাবাহিকতা গত ৭ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পের মাধ্যমে উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে ব্যবসায়ী জজ মিয়ার কাছ থেকে ৪৪ লাখ টাকা ১ বছরের মধ্যে ফেরৎ দিবে শর্তে উল্লেখিত টাকা ধার নেয় প্রতারক আলামিন। ব্যবসায়ী জজ মিয়ার কাছ থেকে উল্লেখিত টাকা ধার নেওয়ার সময় প্রতারক আলামিন জামানত হিসেবে মেঘনা ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর চেক প্রদান করে। যার নং- এস ভি এ ২৯৫০২৯৯ এবং একাউন্ট নং- ১১২১১২৮০০০০০০৫১। উল্লেখিত টাকা ধার নেওয়ার সময় প্রতারক আলামিন ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম ওরফে টুম্পা জামিনদার হিসেবে উল্লেখিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ব্যবসায়ী জজ মিয়া দেনাদার আলামিনের নিকট পাওনা টাকা চাইলে প্রতারক আলামিন টাকা না দিয়ে
নানা ভাবে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে।একপর্যায়ে পাওনাদার ব্যবসায়ী জজ মিয়া দেনাদার আলামিনের দেওয়া চেক নিয়া ব্যাংকে যেয়ে দেখে ব্যাংকে কোন টাকা নেই। তার পর থেকে দেনাদার প্রতারক আলামিন উল্লেখিত টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপনে চলে যায়।